২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ০১:২৮:০৯ পূর্বাহ্ন
পাপনের কাছে ক্রীড়াঙ্গনের চাওয়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০১-২০২৪
পাপনের কাছে ক্রীড়াঙ্গনের চাওয়া

আজ আনুষ্ঠানিকভাবে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটের অভিভাবক থেকে আজ পাপন হবেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি। নতুন অভিভাবকের কাছে কী প্রত্যাশা ক্রীড়া সংস্থা ও সাবেক খেলোয়াড়দের—কয়েকজনের কাছে সেটিই জানতে চাওয়া।


আমাদেরও কিছু দেওয়ার আছে

কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ 

সবার আগে চাই আমাদের খেলাটার প্রতি সুদৃষ্টি। শুভকামনা থাকবে। পৃষ্ঠপোষকতা চাইব। আমরা তাঁকে আগামীকাল (আজ) স্বাগত জানাব। তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আসবেন। শুরুতে খুব প্রত্যাশা করা তো ঠিক হবে না। এরপর আমরা আমাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরব। যদিও আমাদের খুব বেশি সমস্যা নেই। আমরা চাইব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের যেন স্থায়ী একটা ব্যবস্থা (স্টেডিয়াম, অনুশীলন ব্যবস্থা) করে দেওয়া হয়, যেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। রাসেল ভাই (সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল) অনেকটা এগিয়ে দিয়ে গেছেন। সেটা বাস্তবায়নের জন্য আমরা তাঁর কাছে চাইব। আমাদের জন্য অনুদান আছে, সেগুলো যেন অব্যাহত থাকে। আর পাপন ভাই আমাদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। যত সাফল্য এসেছে, ততবার আমাদের ব্যক্তিগতভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে নিয়মিত আছেন, থাকবেন। আমাদেরও কিছু দেওয়ার আছে। আমাদের সাফল্য দেখাতে হবে।


সাধারণ সম্পাদক, আর্চারি ফেডারেশন


লম্বা সময় ক্যাম্পের ব্যবস্থা চাই

রাসেল মাহমুদ জিমি

পাপন ভাই এর আগেও হকির বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছেন। ঘরোয়া লিগ নিয়ে সমস্যা ছিল, যা তিনি সমাধান করেছেন নিজ দায়িত্বে। তাঁকে ধন্যবাদ।


এখন তিনি মন্ত্রী হয়েছেন, যেকোনো প্রয়োজনে আমরা তাঁর কাছে যেতে পারব। তিনি হকি সম্পর্কে জানেন, খোঁজখবর রাখেন, অনেকবার সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। আমাদের ঘরোয়া হকি ধীরগতিতে চলছে, আশা করি সেটা তিনি নিজ উদ্যোগে সমাধান করবেন। যেহেতু তাঁর তিনটি অগ্রাধিকারের মধ্যে হকি আছে, তার মানে তাঁর মাথায় বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে। মাঠে যেন হকি নিয়মিত থাকে, এ ব্যাপারে তিনি যেন নজর দেন। মন্ত্রী হওয়ায় এদিকে এখন তিনি সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবেন। বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা আমাদের আছে, পাপন ভাই যেন আমাদের লম্বা সময় একটা ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে দেন। যদি একটা লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপে খেলার ভালো সম্ভাবনা আমাদের আছে। 


ফরোয়ার্ড, জাতীয় হকি দল


অন্য সব খেলায় বিশেষ নজর দেবেন

আসিফ হোসেন খান

পাপন ভাইয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রিকেট যে গতিতে এগিয়েছে, দেশের অন্য খেলাগুলোও যেন তাঁর মন্ত্রিত্বে সেভাবে এগিয়ে যায়। আশা করি অন্য সব খেলায় বিশেষ নজর দেবেন। আমাদের অনুশীলন সরঞ্জাম নিয়ে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় রাইফেল আনতে পারি না, গুলি আনতে পারি না। ঘরোয়া টুর্নামেন্ট যেহেতু নিয়মিত হচ্ছে, এসব সরঞ্জামের বিশেষ দরকার। সঙ্গে কর রেয়াতের বিষয়গুলো যদি একটু দ্রুত করা হয়, তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে। দেশের প্রায় সব জেলায় কিন্তু শুটিং রেঞ্জ আছে, বিকেএসপিতে অনেক ছাত্র আছে। ক্লাব আর বিকেএসপির কাছে যদি এসব রাইফেল আর গুলি পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলে আমাদের দেশের শুটিং অনেক এগিয়ে যাবে। এটাই পাপন ভাইয়ের কাছে তাৎক্ষণিক চাওয়া। রাসেল ভাই থাকতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন, অনেক এগিয়ে দিয়ে গেছেন। রাসেল ভাই প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, পাপন ভাই পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় হওয়ায় দেশের খেলাধুলা অনেকটা এগিয়ে যাবে মনে হয়।


সাবেক শুটার, কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী


ফুটবল সারা দেশে ছড়িয়ে দেবেন

শেখ আসলাম

কোনো সন্দেহ নেই, পাপন ভাই একজন দারুণ ক্রীড়ামনস্ক ব্যক্তিত্ব। আমাদের সময় যে রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট হতো, সেটা হারিয়ে গেছে। তা ফেরাতে হলে আমাদের পুরোনো দিনে ফিরে যেতে হবে। 


গত ১৫ বছরে কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারেননি, আমি আশা করব, সেটা পাপন ভাইয়ের নেতৃত্বে ছড়িয়ে যাবে। আমার চাওয়া, প্রতি জেলায় ফুটবলের লিগ আয়োজিত হবে, ফুটবলের আমেজ ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের খুলনায় অতীতে অনেক জুট মিল ছিল, তারা একটি করে ফুটবল দল গড়ত। ফুটবলাররা চাকরি পেত। 


জীবিকার চিন্তা দূর করতে পারলে ফুটবলও এগিয়ে যাবে। আশা করি, নতুন মন্ত্রী এসব জায়গায় কাজ করবেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে দেশের ক্রীড়াঙ্গন আরও এগিয়ে যাবে। ভালো ভালো নেতৃত্ব আসবে ক্রীড়াঙ্গনে। আশা করি মন্ত্রী মহোদয় এসব জায়গায় আরও উজ্জীবিত করবেন সবাইকে। 


সাবেক ফরোয়ার্ড, জাতীয় ফুটবল দল


শেয়ার করুন