০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ০১:৪৪:২৬ অপরাহ্ন
বিশ্বে স্বৈরাচার সমিতি হলে হাসিনা সভাপতি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৮-২০২৫
বিশ্বে স্বৈরাচার সমিতি হলে হাসিনা সভাপতি

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘কোনো স্বৈরাচারকে মিথ্যার ওপর পিএইচডি করতে হলে তাকে শেখ হাসিনার কাছে শিখতে হবে। পৃথিবীর সব স্বৈরশাসককে নিয়ে যদি কোনো সমিতি করা হয়, শেখ হাসিনা হবেন তার সভাপতি। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, ভবিষ্যৎপ্রজন্মের স্বার্থে আমরা স্বৈরাচার ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’


জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


এদিন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের পর এ মামলার প্রথম সাক্ষী তার জবানবন্দি দেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র অনেক এগিয়েছে। আগের ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমাদের সামনে যে জুলাই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার সঠিক বিচার চাই।


তবে আমরা অমানবিক বিচার চাই না।’ এ সময় তিনি ইংল্যান্ডের ও লিভার ক্রোমওয়েলের বর্ণনা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘ন্যায়বিচারের জন্য আমরা এখানে এসেছি। এমন একটি বিচার সম্পন্ন হোক, যে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ থাকে।


‘কেননা, ইতিহাসে অনেক ফ্যাসিস্টের জন্ম হয়েছে। তবে বহু স্বৈরশাসকও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। তাদের মধ্যেই একজন ওলিভার ক্রোময়েল। যার মৃত্যুর তিন বছর পর লাশ তুলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এরপর শিরচ্ছেদ করা হয়।


তার মাথা লোহার দণ্ডে গেঁথে বহু বছর ওই শহরে প্রদর্শন করা হয়েছে। তবে আমরা তেমন কিছু চাই না।’ অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘গেল ১৬ বছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে খুন-চাঁদাবাজি, রাতে ভোট করা, বিদেশে টাকা পাচারসহ সব ধরনের অনিয়ম করা হতো। আর এসবের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন হয়। টানা ৩৬ দিনের সেই আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাসহ এমপি-মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।’


শেয়ার করুন