পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে রূপপুর এলাকায় এখন উৎসবের আমেজ।
অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী দুপুর ২টার দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠান শুরু হবে। ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্পের পারমাণবিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে কঠোর নিরাপত্তায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর প্রকল্পে নেওয়া হয় ইউরেনিয়াম।
গতকাল বুধবার রূপপুর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ২০২৫ সালের শুরুতে রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। দেশের জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এ সময় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, পারমাণবিক জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় আসার পরই এটি পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে পারমাণবিক ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই অর্জন দেশবাসীর।
এদিকে, ইউরেনিয়াম হস্তান্তর নিয়ে প্রকল্পের আবাসিক এলাকা ‘গ্রিন সিটি’র সীমানাপ্রাচীরে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। এতে বাংলাদেশি ও রুশ বন্ধুত্বে বদলে যাওয়া এক জনপদের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শোভা পাচ্ছে দেশীয় সংস্কৃতি, বাংলাদেশ-রাশিয়ার সম্পর্ক এবং বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয়। আছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, রূপপুর প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্জনসহ নানা অঙ্কন। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের ফুল, পাখি, সূর্য ও আবহমান বাংলার নানা সংস্কৃতি। প্রকল্প এলাকা সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ-রাশিয়ার পতাকা ও বিভিন্ন ফেস্টুন ব্যানারে। সব মিলিয়ে রূপপুরজুড়ে এখন সাজ সাজ রব।

