২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ০৩:৪০:০১ অপরাহ্ন
ইউক্রেনে রণকৌশল বদলেছে রাশিয়া, আটকে দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৯-২০২৩
ইউক্রেনে রণকৌশল বদলেছে রাশিয়া, আটকে দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে

ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে রণকৌশল বদলেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে পাল্টা রণকৌশলে ঘায়েল করছে প্রতিপক্ষকে। এমনটাই বলা হয়েছে গত শনিবারে প্রকাশিত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে। 


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী ছোট ছোট ইউনিটে বিভক্ত হয়ে জাপোরিঝিয়ার রণক্ষেত্রে একটি একটি করে গ্রাম বা নগর দখল করার চেষ্টা করছি, সে সময়ে রুশ বাহিনী ইউক্রেনীয়দের রুখতে বিপজ্জনক ও ধ্বংসাত্মক সব ফাঁদ ব্যবহার করছে। এতে ফলাফলও পেয়েছে হাতেনাতে। 


রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, বিগত দুই মাসে পাল্টা আক্রমণ সফল করতে গিয়ে ইউক্রেন ৪৩ হাজার সেনা হারিয়েছে। এই চড়া মূল্যের বিপরীতে মাত্র কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে। কিয়েভ এই হতাহতের সংখ্যার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি, এমনকি প্রত্যাখ্যান করেনি। 


নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনীয়রা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধ করার সুফল পাচ্ছে। তারা সহজেই মাইনফিল্ড পার হয়ে যেতে পারছে। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয় গ্রাম, ছোট নগর এমনকি একটি একটি করে ভবনও দখল করে নেওয়ার কৌশল নিয়েছে তারা। 


তবে ইউক্রেনীয় সেনাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, রুশরা ইউক্রেনীয়দের এই কৌশল ধরে ফেলেছে এবং সেই অনুসারে নিজেদের রণকৌশল নির্ধারণ করেছে। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তারা বিস্তীর্ণ জমিতে আগে থেকেই পুঁতে রাখা মাইনের পাশাপাশি দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে রাখে। পরে যখন ইউক্রেনীয়রা সেই মাইনফিল্ড পরিষ্কার করতে করতে এগিয়ে আসার চেষ্টা করে সে সময় রুশরা ড্রোন থেকে সেখানে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। যার ফলে মুহূর্তের মধ্যে সেখানে এক নারকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়।’ 


কিয়েভের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা এই বিপুল হতাহত এবং কম সাফল্য অর্জনের পেছনে পশ্চিমা রণকৌশলকে দায়ী করেছেন। পশ্চিম সেই রণকৌশল হলো—বিমানবাহিনীর কোনো সমর্থন ছাড়াই মাইনফিল্ডের মধ্য দিয়ে সাঁজোয়া যানের বিশাল বহর নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। এই অবস্থায় কোন রণকৌশল ধরে এগিয়ে যাওয়া হবে তা ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। একটি বড়সংখ্যক ইউক্রেনীয় সমর বিশারদেরা এখন দূরবর্তী অঞ্চল থেকে আর্টিলারি বা গোলন্দাজ বাহিনীর আক্রমণকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।


শেয়ার করুন