২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৩:৪০:০০ পূর্বাহ্ন
অক্টোবরে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনের ট্রায়াল রান
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৮-২০২৩
অক্টোবরে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনের ট্রায়াল রান

সারা বছর দেশী-বিদেশী পর্যটকে মুখর থাকে কক্সবাজার। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। প্রধান আকর্ষণ দেশের প্রথম আইকনিক রেলস্টেশন। এ যেন বিশাল আকৃতির একটি ঝিনুক! ঝিনুকের পেটে মুক্তার দানা! তার চারপাশে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি! এর মধ্যেই আসছে ট্রেন! ঝকঝকে আধুনিক এ স্টেশন অনেকটাই উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরের মতো। দেশের প্রথম এই আইকনিক রেলস্টেশনের নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।

সব মিলিয়ে রেললাইন পুরোপুরি চালু হলে পর্যটনশিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। ফলে নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। কক্সবাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে বিপ্লব ঘটবে।


এ ব্যাপারে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করছি, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্টের মধ্যে অবশিষ্ট ২৫ কিলোমিটারের কাজ শেষ করতে পারব। এই ২৫ কিলোমিটারের মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু স্লিপার আর রেল বিট বসবে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর এই দুই মাসে ফিনিশিং ওয়ার্কসহ অবশিষ্ট কাজ শেষ করে অক্টোবরে আমরা ট্রায়ালরান উদ্বোধন করতে পারব বলে আশা করছি। প্রথমত আমরা এক জোড়া ট্রেন দিয়ে হলেও চালু করে দেবো। আশা করছি, আগামী জুনে বাণিজ্যিক পরিচালন শুরু করতে পারব।

জানতে চাইলে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। আশা করছি, সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে চট্টগ্রাম তথা ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একটি ট্রায়াল রান করা হবে। বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালু হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে দুই জোড়া ট্রেন চলবে। পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ঢাকা থেকে যেসব ট্রেন চট্টগ্রাম পর্যন্ত আসে, সেসব ট্রেনের শেষ গন্তব্য হবে কক্সবাজার। এছাড়া সম্পূর্ণ নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। কুয়েত থেকে নতুন কোচ আনা হয়েছে। তবে এখনো ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ট্রেন চালু হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসতে সাড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লাগবে। এসি সিটের ভাড়া ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর নন এসি হতে পারে ৭০০ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্প নির্মাণে হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর নির্বিঘেœ চলাচল করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। বর্তমানে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন আছে। এ কারণে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে বন-পাহাড় নদী পাড়ি দিয়ে রেলপথটি যাচ্ছে কক্সবাজারে। ৯টি স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। এর মধ্যে আছে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার। এসব স্টেশনে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। দোহাজারী থেকে চকরিয়া এবং চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ৩৯টি ব্রিজ ও আন্ডারপাসসহ ২৫১টি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮১ কিলোমিটার অংশে রেলওয়ে ট্র্যাক বসানো হয়েছে।


দোহাজারী-ক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার মো: আবদুল জাবের মিলন বলেন, সমুদ্রসৈকত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ঝিলংজা ইউনিয়নের প্রায় ২৯ একর জায়গাজুড়ে ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন স্টেশনটি এখন দৃশ্যমান। ঝিনুকের আদলে নির্মিত হয়েছে এই স্টেশন। আইকনিক এই স্টেশনটি নির্মাণের সময় চীন, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক স্টেশনের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। পুরো প্রকল্পটিতে ১১০ জন বিদেশীসহ মোট ২৫০ জন প্রকৌশলী এবং শ্রমিকসহ মিলে মোট ছয় শতাধিক লোকের চার বছরের শ্রমে আইকনিক রেলস্টেশন ভবনটি আজ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। এখন চারদিকে চলছে গ্লাস ফিটিংস, ছাদের স্টিল ক্যানোফি, আর নানা ধরনের ফিটিংস বসানোর কাজ। এশিয়ার প্রথম শতভাগ পর্যটনবান্ধব কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছয় তলা বিশিষ্ট স্টেশনটির সম্পূর্ণ ফোর এরিয়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুট। রয়েছে পর্যটকদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। পর্যটকরা যেন কক্সবাজারে দিনে এসে ঘুরে আবার ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। শুধু এই আইকনিক রেলস্টেশন নয়, এই প্রকল্পের আওতায় আরো ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে পরের স্টেশনটি রামু স্টেশন। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইসলামাবাদ, ডুলাহাজারা, চকরিয়া, হারবাং, লোহাগড়া, সাতকানিয়া ও দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন। চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, যা ছিল চট্টগ্রামবাসীর জন্য স্বপ্নের মতো। এখন বাস্তবায়নের পথে।


প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজারে পর্যটকদের অর্ধেকই আসেন একদিনের জন্য। এ সময় তারা নিজেদের মালপত্র রাখার নিরাপদ জায়গা পান না। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে স্টেশনে রাখা হচ্ছে লাগেজ ও লকার সিস্টেম। এ ছাড়া থাকছে আধুনিক ট্রাফিক সুবিধা, বিশ্বমানের এ স্টেশনের নিচতলায় থাকছে টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা, লকারসহ নানা সুবিধা। দ্বিতীয় তলায় শপিংমল ও রেস্তোরাঁ। তিনতলায় থাকবে তারকামানের হোটেল, যেখানে ৩৯টি রুমে থাকার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। থাকছে মসজিদ, শিশু যতœ কেন্দ্র ও চলন্ত সিঁড়ি। থাকছে সাধারণ ও ভিআইপিদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ড্রপ এরিয়া, বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস এবং থ্রি হুইলারের জন্য আলাদা পার্কিং এরিয়া, থাকছে এটিএম বুথ, পোস্ট অফিস, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথ ছাড়াও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা কেন্দ্র।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এই মেগা প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এই মেগাপ্রকল্পের দোহাজারী-কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।


এর মধ্যে দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। অপরদিকে চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড দুই ভাগে রেললাইন নির্মাণ কাজটি করছে। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড যে অংশে কাজ করেছে তাদের সেই অংশের কাজ খুব দ্রুত শেষ হয়েছে। এখন তমা কনস্ট্রাকশনের অংশের কাজ চলছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চকরিয়া থেকে কক্সবাজার অংশে ২০টি সেতুর মধ্যে ১৮টির কাজ শেষ হয়েছে। দোহাজারী-চকরিয়া অংশে ১৯টি সেতুর মধ্যে সাঙ্গু নদীর ওপর একটি, মাতামুহুরী নদীর ওপর দুটি এবং বাঁকখালী নদীর ওপর একটি বড় রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই রেল লাইনে প্রথম ট্রায়াল শুরু হবে। বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে আগামী জুন মাসে। এতে পূরণ হবে কক্সবাজারবাসীর আরেকটা স্বপ্ন। বাণিজ্যিকভাবে শুরু হলে কক্সবাজার পর্যটন শিল্প আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যেই ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।


প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ৮৬ শতাংশ শেষ হয়েছে।

কক্সবাজারের স্টেশনটির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাঁচতলা বিশিষ্ট এই স্টেশনে থাকবে শপিং মল, ফুড কর্নার, লকার, কনভেনশন হলসহ ১৭টি বাণিজ্যিক কার্যক্রম। সমুদ্র দর্শনে এসে প্রথম দর্শনেই সামুদ্রিক একটা আবহ পাওয়া যাবে গোটা স্টেশনে। সেপ্টেম্বর মাসে এই রেলপথে ট্রেনের প্রথম ট্রায়াল রান হবে। আর বাণিজ্যিকভাবে আগামী বছরের জুনে ট্রেনের হুইসেল বাজবে কক্সবাজারে। এতে কম সময়ে, কম খরচে আরামদায়কভাবে যাতায়াত করতে পারবেন এই অঞ্চলের মানুষ। ফলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে বইছে সম্ভাবনার সুবাতাস। দেশের অর্থনীতির গতি বাড়বে বহুগুণ। হবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।

দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের অদূরে ঘুমধুুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০১০ সালে হাতে নেয় সরকার। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। দুই পর্যায়ে এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। আর এই অংশেরই ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে রামু থেকে মিয়ানমারের অদূরে ঘুমধুুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭৫২ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে এটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওর্য়াকের আওতায় আনতে, পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহনে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আইকনিক এই রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, নান্দনিক ডিজাইন আর নির্মাণশৈলীতে গড়ে উঠছে স্টেশনটি। চারদিকে গ্লাস বসানো হয়েছে। ছাউনিটা পুরো কাঠামোকে ঢেকে রেখেছে। ওপরের ছাদ খোলা থাকায় থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। দিনের বেলা বাড়তি আলো ব্যবহার করতে হবে না এই রেলস্টেশনে। ফলে সবসময় ভবনটি সহনীয় তাপমাত্রায় থাকবে। স্টেশনটির ছাদ ঝিনুক আকৃতির। সামনে ফোয়ারা বসানোর কাজ চলছে, সেখানে মুক্তা বসানো হবে। ৬টি লিফট ও ২টি চলন্ত সিঁড়ি স্থাপনের কাজ করছেন শ্রমিকরা।


সুবিশাল এই চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা থেকে নামতে হবে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। আর আসার যাত্রীরা বের হবেন নিচ থেকে। স্টেশনের ভেতরেই থাকবে কেনাকাটার ব্যবস্থা। থাকবে হলরুম। আবার চাইলেই নির্দিষ্ট লকারে ব্যাগ রেখে পর্যটকরা ঘুরে আসতে পারবেন পুরো শহর। এমন ৫০০টি লকার থাকবে। থাকবে হোটেল ও গোসলখানা।

তবে চালু হওয়ার আগেই নান্দনিক এই স্টেশনটি দেখতে আসছেন পর্যটকরা। তারা বলছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হলে গতি বাড়বে দেশের অর্থনীতির চাকার। সেই সাথে তুলনামূলক চাপ কমবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর। কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। কারণ তখন সহজেই কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন বাড়বে। চাঙা থাকবে পর্যটন ব্যবসা। নতুন করে বাড়বে স্থানীয় কর্মসংস্থান।

কথা হয় কক্সবাজারের ঈদগাঁয়ের উত্তর কাহাতিয়া পাড়ার বাসিন্দা সুমন পাটোয়ারির সাথে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হলে কী উপকার হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেললাইন হবে, এটা এতদিন ধরে শুনে আসছিলাম। এখন সত্যি সত্যিই তা চোখে দেখছি। ট্রেন চালু হলে খুব খুশি হবো। ট্রেনে করে রামুতে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতে যাব।

এই অংশে ইতোমধ্যে রেললাইন বসানো হয়েছে। রেললাইনের পাশে এলাকার শিশু-কিশোররা খেলায় মেতেছিল। একই এলাকায় কথা হয় বৃদ্ধ সোলায়মানের সাথে। একসময়ের প্রবাসী সোলায়মান এখন কৃষিকাজে যুক্ত। তিনি বলেন, জীবনে তিনি বেশ কয়েকবার বিমানে করে বিদেশে গেছেন। কিন্তু কখনো ট্রেনে চড়েননি। এই রেল লাইন চালু হলে ট্রেনে ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণ হবে। ট্রেনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম যেতে পারবেন।


শেয়ার করুন