২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৩:০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
ডিজিটাল বাংলাদেশে ‘সত্যায়নে’র প্যাঁচ আর কতদিন?
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৮-২০২৩
ডিজিটাল বাংলাদেশে ‘সত্যায়নে’র প্যাঁচ আর কতদিন?

বহুদিনের পুরোনো এ পদ্ধতির এখন আর প্রয়োজন দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনসহ বহুভাবে বেশ সহজেই একজন মানুষের তথ্য যাচাই করা যায়। তাই সত্যায়ন প্রক্রিয়ার চলমান নিয়ম আর দরকার নেই। এই পদ্ধতি চাকরিপ্রার্থীসহ অনেকের জন্য হয়রানির কারণ হচ্ছে। বাস্তবে এর কোনো উপকার নেই। আবার নকল সিল বানিয়ে অনেকে এ পদ্ধতির দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে।


সরকারি চাকরির আবেদনকারীদের অভিযোগ, পরিচিত না হলে বেশিরভাগ প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা কাগজপত্র সত্যায়নই করতে চান না। আবার এটা নিয়ে বেশ বিরক্ত সত্যায়নকারী কর্মকর্তারাও। তাদের দাবি, এতে গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ নষ্ট হয় এবং সময়ের অপচয় হয়। অজানা মানুষের সত্যায়নের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও থেকে যায়।


কাগজপত্র ফটোকপি করে খাদ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার কাছে সত্যায়ন করতে যাই। কিন্তু তিনি আমাকে চেনেন না বলে সত্যায়ন করেননি। খুবই হতাশ হলাম। এ প্রক্রিয়াটা আমাদের মতো চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এখন দুর্ভোগের কারণ

সম্প্রতি একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ইকরামুল হক। বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে আবেদনের পরিকল্পনা করছেন তিনি। সম্প্রতি ডাক বিভাগের একটি অস্থায়ী পদে আবেদন করেন তিনি।

ঢাকা পোস্টকে এ চাকরিপ্রার্থী বলেন, আবেদনপত্রের সঙ্গে সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের সত্যায়িত অনুলিপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি পাঠাতে বলা হয়। আমি কাগজপত্র ফটোকপি করে খাদ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার কাছে সত্যায়ন করতে যাই। কিন্তু তিনি আমাকে চেনেন না বলে সত্যায়ন করেননি। আমি খুবই হতাশ হলাম। এরপর পাশের রেল ভবনে গিয়ে একজন কর্মকর্তাকে কয়েকবার অনুরোধ করার পর তিনি সত্যায়ন করে দেন। 


তিনি বলেন, সত্যায়ন প্রক্রিয়াটা আমাদের মতো চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এখন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


আমিরুল ইসলাম নামে আরেক চাকরিপ্রার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিচিত না হলে বেশিরভাগ কর্মকর্তাই সত্যায়ন করতে চান না। তখন এটা বাড়তি ঝামেলা আর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

শেয়ার করুন