২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৯:০৪:৩৪ অপরাহ্ন
জঙ্গি হামলার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তরের অপেক্ষায়
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৭-২০২৩
জঙ্গি হামলার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তরের অপেক্ষায়

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার সাত বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৬ সালের এই দিনে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে তল্লাশি চৌকিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড, গুলি ও চাপাতির আঘাতে দুই পুলিশ কনস্টেবল, এক গৃহবধূ নিহত হন। মারা যান এক জঙ্গিও।


জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হবে বলে সাক্ষ্য গ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে। জঙ্গিদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ কারাগারে দুই-তিনজন কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আনছারুল হক ও জহিরুল ইসলাম এবং গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক নিহত হন। মারা যান আবির হোসেন নামের এক জঙ্গি। এ ছাড়া ১২ পুলিশ সদস্য ও চার মুসল্লি আহত হন। ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় করা মামলায় মোট ২৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়। এসব আসামির মধ্যে ১৯ জনই বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


এ কারণে বেঁচে থাকা পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম তারাপাশা গ্রামের জাহিদুল হক তানিম, গাইবান্ধার রাঘবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাজারদীঘা গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, গাইবান্ধার গান্ধারপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও কুষ্টিয়ার সাদীপুর কাবলীপাড়া গ্রামের আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ।


হামলায় আহত পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের তৎপরতা নস্যাৎ করে দেয় জঙ্গিদের সব পরিকল্পনা। তল্লাশির মুখে পড়ে চাপাতি ও বোমা নিয়ে আমাদের ওপর হামলে পড়েন জঙ্গি আবির ও শরীফুল।’


পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে সফল তদন্ত শেষে মামলাটির অভিযোগপত্র দিয়েছে। এ জঙ্গি হামলা আমাদের জন্যও বিশেষ বার্তা ছিল। আজকে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা গ্রহণ করে এদের নির্মূল করতে পারছি।’


শেয়ার করুন