২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৯:৪০:৫৭ অপরাহ্ন
যুগলকে হত্যা করে কুমিরে ভরা নদীতে ফেলে দেয় মেয়ের পরিবার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৬-২০২৩
যুগলকে হত্যা করে কুমিরে ভরা নদীতে ফেলে দেয় মেয়ের পরিবার

ভারতের মধ্যপ্রদেশে ১৮ বছর বয়সী তরুণী ও ২১ বছর বয়সী যুবকের মাথায় গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার পর এই যুগলের লাশে পাথর বেঁধে কুমিরে ভরা নদীতে ফেলেছিল দুর্বৃত্তরা। রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।


পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার শিকার হওয়া শিবানি তমার ও রাধেশ্যাম তমারের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শিবানির বাড়ি রতনবাসাই গ্রামে ও রাধেশ্যামের বাড়ি পাশের বালুপুরা গ্রামে ছিল। তবে তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় শিবানির পরিবার। একপর্যায়ে শিবানির পরিবার দুজনকেই হত্যা করে রতনবাসাই গ্রামের পাশের ওই নদীতে ফেলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।


এদিকে রাধেশ্যামের বাবা নিজের ছেলে ও ওই তরুণী নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ প্রথমে ধারণা করেছিল তারা হয়তো বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু গ্রামের কেউ তাঁদের এলাকা ছাড়তে দেখেনি। এরপর পুলিশ ওই তরুণীর বাবা ও আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারটি দুজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


শিবানি তমারের পরিবার পুলিশকে জানায়, শিবানি এবং রাধেশ্যামকে ৩ জুন গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ ভারী পাথরের সঙ্গে বেঁধে চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।


রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। যুগলটিকে খুন করে লাশ চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে। আমরা মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিয়েছি।’


চম্বল নদীর ওই অভয়ারণ্য অংশে দুই হাজারের অধিক ঘড়িয়াল ও ৫০০-এর বেশি মিঠাপানির কুমির রয়েছে।


শেয়ার করুন