২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ০৮:০৯:৩২ অপরাহ্ন
জামালপুরে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক নিহত
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২৩
জামালপুরে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক নিহত

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় গোলাম রব্বানী নাদিম নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গতকাল রাতে হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।


হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে গোলাম রব্বানী নাদিমকে হাসপাতালে আনা ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।


গোলাম রব্বানী নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি একই উপজেলার নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের গোমেরচর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।


নিহতের স্বজন ও সহকর্মীরা জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার সময় নাদিমের উপর একদল লোক হামলা চালায়। ব্যাপক মারধরের একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। স্থানীয়রা নাদিমকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং পরে রাত ১২টার দিকে তাঁকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে আজ সকালে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।


সংবাদ প্রকাশের জের ধরে একই উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমের লোকজন এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারেন বলে তাঁর স্বজনদের ধারণা। 


গোলাম রব্বানীর স্ত্রী মনিরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। তিনি আগেও নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর লোকজনই এই হামলা চালিয়েছে।’


স্বামীর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। এঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবুকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 


ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে গতকাল রাতে এবং দুজনকে আজ দুপুরে আটক করা হয়েছে।’


তবে ‘তদন্তের স্বার্থে’ আটককৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।


এ বিষয়ে জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, পুলিশের পাঁচটি দল মাঠে কাজ করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীরা গ্রেপ্তার হবেন।


শেয়ার করুন