২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১০:০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
এমটিএফই কেলেঙ্কারি: দায় কার রাজশাহী ও নওগাঁর ২ গ্রামে যাচ্ছে শহরের সুবিধা বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও দেশে বাড়ছে নির্বাচনে বিএনপি আসুক বা না আসুক—বিকল্প রেখে আওয়ামী লীগের ভোটের ছক রাজশাহীতে 'আইসিটি ইন এডুকেশন লিটারেসি ট্রাবলস্যুটিং ও মেইনটেনেন্স 'বিষয়ক ১০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী বেনাপোল কাস্টমসের ১৯ কেজি সোনা চুরি: সাক্ষ্য গ্রহণেই আটকা বিচার ২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিলবোর্ড ব্যানার খুলে ফেলার অভিযোগ এবার সত্যিই মারা গেছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ হিথ স্ট্রিক ১৭ ব্যাংককে ৫০ হাজার কোটির বিশেষ সুবিধা
মাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে যা বললেন জাহাঙ্গীর
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২৩
মাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে যা বললেন জাহাঙ্গীর

আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীককে হারিয়ে মা জায়েদা খাতুনকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী করে আনা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, তারা মা-ছেলে ‘জন্মগতভাবে’ আওয়ামী লীগার। 

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগ। এটা কেউ মানুক আর না মানুক, সেটা তাদের ব্যাপার। আমার মাও জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগ।  আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবেই আছি। আমরা মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছে এসেছি, নেত্রীর বাড়িতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা সহযোগিতা চাই।’ 

ভোটে জয়ের তিন দিনের মাথায় রোববার সকালে গাজীপুর থেকে বিরাট একটি গাড়িবহর নিয়ে জায়েদা ও জাহাঙ্গীর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় গাজীপুরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থন চান তারা। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে আমি সবার সহযোগিতা নেব। সবার সঙ্গে মিলেমিশে, সহযোগিতা নিয়ে উন্নয়নের কাজ করব। উন্নয়নের কাজে আমার ছেলে জাহাঙ্গীরও সঙ্গে থাকবে।’ 

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ঘরোয়া এক আলোচনায় বঙ্গবন্ধু ও একাত্তরে শহিদদের নিয়ে মন্তব্য করে বেকায়দায় পড়েন জাহাঙ্গীর।  বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার অভিযোগে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গাজীপুরে নিয়মিত বিক্ষোভ ও পালটা কর্মসূচির মধ্যে নভেম্বরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে। পরে জাহাঙ্গীরের আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি দলের শৃঙ্খলা মেনে চলার শর্তে তাকে ক্ষমা করে আওয়ামী লীগ। 

কিন্তু এর চার মাস না যেতেই নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিদ্রোহ করেন তিনি। নিজের পাশাপাশি মায়ের নামেও মনোনয়নপত্র কিনেন।  দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় এবার স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হন আওয়ামী লীগ থেকে। 

এদিকে ভোটের প্রচারকালেই জায়েদা বলেছিলেন, তিনি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার ছেলের নামে ক্ষমা চাইবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির সাক্ষাৎ চেয়ে তিনি আবেদন করেছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা সময় দিয়েছেন কিনা, তা এখনো জানা যায়নি। 

বহিষ্কারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি আমার বিষয় না, দলের বিষয়। দল যা ভালো বুঝবে সেটাই করবে।’

শেয়ার করুন