০৪ মে ২০২৪, শনিবার, ০২:৩৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৯-২০২২
নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ও আশপাশের চারটি এলাকার পয়োঃবর্জ্য পানিতে পোলিওভাইরাস পাওয়া গেছে। ফলে এ অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর।



এখন পর্যন্ত মাত্র একজনের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে। প্রায় এক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এটিই প্রথম পোলিওতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা।


১৯৫৫ সালে টিকাদান শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোলিও প্রায় নির্মূল হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।


দেশটি ১৯৭৯ সালে নিজেদেরকে পোলিওমুক্ত বলে ঘোষণা দেয়।


কিন্তু নিউইয়র্ক রাজ্যের অনেক অংশে এই ভাইরাস মোকাবেলায় সক্ষম টিকাদানের হার খুবই কম, বলেছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা।


শুক্রবার যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, তার লক্ষ্য হচ্ছে টিকা দেওয়ার হার বাড়ানো।


পোলিওর কোনো প্রতিষেধক নেই, কিন্তু টিকার মাধ্যমে একে রোধ করা যায়। এই ভাইরাস সাধারণত শিশুদের মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর কারণ হয়।


সাধারণত মাংসপেশীকে দুর্বল এবং অক্ষম করে দেয় এ ভাইরাস। গুরুতর কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি স্থায়ী প্রতিবন্ধিতা ও মৃত্যুও ডেকে আনে।


নিউইয়র্ক রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমানে রাজ্যজুড়ে পোলিওর টিকাদান হারকে ৭৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের উপরে নিয়ে যাওয়া।


স্বাস্থ্য কমিশনার ড. মেরি বাসেট, পোলিওর ক্ষেত্রে আমরা নয়ছয় করতে পারি না। যদি আপনি কিংবা আপনার সন্তান টিকা না নিয়ে থাকেন বা টিকার বিষয়ে না জেনে থাকেন, তাহলে পক্ষাঘাতজনিত রোগের খপ্পরে পড়ার বাস্তব ঝুঁকি রয়েছে। পক্ষাঘাতগ্রস্ত পোলিওর এক রোগী শনাক্ত হওয়ার মানে হচ্ছে হয়তো আরও কয়েকশ লোক আক্রান্ত হয়ে গেছে।


যুক্তরাষ্ট্রে শিশু বয়সের নিয়মিত টিকাদান কারযক্রমে পোলিও টিকা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৩ বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশুদের প্রায় ৯৩ শতাংশই পোলিও টিকার অন্তত তিনটি ডোজ পেয়েছে বলে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) দেওয়া টিকাদানের তথ্যে দেখা যাচ্ছে।


এ নিয়ে চলতি বছর তৃতীয়বার রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা জারি হল। আগের দুইবার কোভিড মহামারি ও মাঙ্কিপক্সের জন্য একই বিধিবিধান আরোপ করেছিল অঙ্গরাজ্যটির কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন