নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত চারটি হত্যা মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার শুনানি পিছিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এ মামলাগুলোর শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচির কারণে তা পেছানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে আসামিকে আদালতে আনা সম্ভব হয়নি। ফলে শুনানির জন্য প্রসিকিউশন দাঁড়াতে পারেনি।
পরে সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তারিখ পিছিয়ে ১৮ নভেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য করে আদেশ দেন। ওইদিন আসামিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হতে পারে।
এর আগে গত ৯ মে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে গত ৬ মাস ধরে আইভী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দি। পরে আরো চারটি মামলায় তাকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখায় পুলিশ।
তার আগে গত ৯ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এএসএম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আইভীকে পাঁচটি মামলায় জামিন দেন। ওই দিনই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতে আবেদন করে। একই সঙ্গে পরদিন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় আরো চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করে। আদালত পাঁচটি মামলাতেই ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য করে, যা পেছানো হয়েছে।
এদিকে, পাঁচ মামলায় আইভীকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ গত ১২ নভেম্বর স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
