রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেছে। এ ঘটনায় নিচে থাকা একজন পথচারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগেও গত বছর সেপ্টেম্বরে ফার্মগেট এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে গিয়েছিল।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এ কারণে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল।
এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে।
এর আগে বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ড. হদিউজ্জামান বলেছিলেন, যে স্থানে বিয়ারিং প্যাড খুলে গেছে সেটি ট্রেনের বাঁক নেয়ার স্থান। ফলে সেখানে চাপ তৈরি হয় বেশি।
কিন্ত মেট্রোরেলের নকশাতে বাঁক স্থানে অতিরিক্ত চাপের ব্যাপারটা মাথায় না রেখেই বসানো হয়েছে ভায়াডাক্ট। সেখানে রাবারের প্যাড বিয়ারিংকে ধরে রাখার ব্যবস্থা ছিল না। ফলে অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরে রাবারের প্যাড খুলে গেছে। এ জন্য নকশাগত ত্রুটিকেই দায়ী করছেন তিনি।
এজন্য পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়ে ড. হদিউজ্জামান বলছেন, রাবারের বিয়ারিং বাদ দিয়ে উন্নত প্রযুক্তির টেকসই ও অধিক চাপ সহনশীল পড বিয়ারিং ব্যবহার করতে হবে।
তবে এই ঘটনা থেকে পরিত্রাণের কথা বলেছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলছেন, এসব দিক মাথায় রেখে নতুন করে পরিকল্পনা করছেন তারা। নির্মাণাধীন মেট্রো লাইনগুলোর নকশাতেও প্যাড ধরে রাখার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে।

