১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ০৩:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন
ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো অপরাজনীতি: সালাহউদ্দিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৭-২০২৫
ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো অপরাজনীতি: সালাহউদ্দিন

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় বিএনপি সংশ্লিষ্ট যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের অভিযুক্ত চার নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করেছে দলটি। এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপি বলেছে, অপরাধীর ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।


শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “মিটফোর্ডের ঘটনায় সিরিয়াস ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো হচ্ছে—এটি একটি নোংরা রাজনৈতিক চর্চা। বিএনপি বা তার অঙ্গসংগঠন কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয়নি, দেবে না।”


অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।


এদিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম নয়ন এক বিবৃতিতে জানান, রজ্জব আলী পিন্টু (সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি), সাবাহ করিম লাকি (যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল) এদের দল থেকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।


বিবৃতিতে বলা হয়, “বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না। বরং যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সকল প্রকার সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”


গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী ঘটনার সঙ্গে জড়িত।


এ ঘটনায় চারজনকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে এবং নিহতের বোন কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনীতিতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়, যার প্রেক্ষিতে বিএনপি দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়।


শেয়ার করুন