১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ০৫:১১:৫৯ অপরাহ্ন
জিম্মি মুক্তির চুক্তি কবে হতে পারে, জানালেন নেতানিয়াহু
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৭-২০২৫
জিম্মি মুক্তির চুক্তি কবে হতে পারে, জানালেন নেতানিয়াহু

আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।  তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আমরা কয়েক দিনের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে পারব। ’


ওয়াশিংটন সফর শেষে ইসরাইলে ফিরে যাওয়ার আগে নিউজম্যাক্সের গ্রেটা ভ্যান সাস্টেরেনকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।  খবর টাইমস অব ইসরাইলের। 


নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের সম্ভবত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে।  প্রথম ধাপে জিম্মিদের মুক্ত করে আনা এবং তারপর ৬০ দিন সময় নিয়ে এর অবসান ঘটানোর জন্য আলোচনার চেষ্টা। ’


তিনি বলেন, ‘এটি (গাজা যুদ্ধ) আজ কিংবা আগামীকালও শেষ হতে পারে, যদি হামাস তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে। ’


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি আমরা এটি সম্পন্ন করতে পারব। আমি বলব না যে, আমাদের যুদ্ধের একটি লক্ষ্য রয়েছে যা অর্জন করা অসম্ভব। আমরা এই দানবদের (হামাস) পরাজিত করতে এবং আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি।’



ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘হামাস গাজার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেসামরিক নাগরিকদের পালাতে বাধা দেওয়ার জন্য সহিংসতা ব্যবহার করছে। ’


নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি গাজার একটি যুদ্ধ বাহিনী, একটি শাসক বাহিনী যারা তার জনগণকে নির্যাতন করে, আমাদের জনগণকে, আমাদের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এবং তাদের বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। তারপর তারা অভিযোগ করে যে বেসামরিক লোকসান আমাদের কারণেই হচ্ছে। না, আমরা বেসামরিক লোকদের বলি, ‘চলে যাও। যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে যাও।’ … আর হামাস বলে, ‘তোমরা যেও না।  যদি তোমরা যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা কর, আমরা তোমাদের গুলি করব’। ’


হামাসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘তারা বেসামরিকদের হত্যা করে, কারণ তারা এর দায় ইসরাইলের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। 


টিকটক এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি এটাই দেখতে পান: ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের হত্যা করছে।  না, আমরা তা করছি না। হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে তার নিজস্ব লোকদের হত্যা করছে, তাদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাতে বাধা দিচ্ছে। তারা দানব। ’


ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করা ‘অসাধারণ’।


তিনি বলেন, তিনি এবং ট্রাম্প ‘একটি সাধারণ মতবাদ অর্জন করছেন। একে শক্তির মাধ্যমে শান্তি বলা হয়। প্রথমে শক্তি প্রয়োগ, তারপর শান্তি আসে। ’


শেয়ার করুন