০৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন
উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে নির্দেশনা বিএসইসির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৯-২০২৩
উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে নির্দেশনা বিএসইসির

নিয়ম অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ ধারণ করতে হবে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের। তবে এখনো ২৯টি কোম্পানি এই নির্দেশনা পরিপালন করেনি। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।


যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেননি, তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিএসইসির কাছে এ-সংক্রান্ত পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন সাপেক্ষে কমপক্ষে দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি কোম্পানিগুলোকে এমন নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 


সংশ্লিষ্টরা জানান, যখন কোনো কোম্পানিতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ারধারণের পরিমাণ কমে যায়, তখন তাঁরা ওই কোম্পানির ব্যবসায় মনোযোগ দেন না। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ওই কোম্পানির শেয়ার কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন।


বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের পর যেসব কোম্পানি নিয়ম মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। 


বিএসইসির নির্দেশনার ভিত্তিতে এসব কোম্পানির মধ্যে কেবল পাঁচটি শেয়ারধারণ-সংক্রান্ত পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। চারটি কোম্পানি এক বছর ধরে তাদের শেয়ারধারণ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি।


বিএসইসি তথ্য অনুযায়ী, ২৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি গত ৩১ মে পর্যন্ত ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ করেনি। এর মধ্যে আবার ৯টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা ২০ শতাংশের নিচে এবং ৩টি কোম্পানির ১০ শতাংশের নিচে শেয়ারধারণ করছেন। 


সমন্বিতভাবে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার যদি উদ্যোক্তা এবং পরিচালকেরা কেনেন বা তাঁদের হাতে থাকে, তাহলে এটি বড় একটি ফান্ড রিলিজ করবে। এটি পুঁজিবাজারে চলমান তারল্য সংকট কমাতে সহায়তা করতে পারে। 


২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ২০১১ সালে এই নিয়ম জারি করে। এর মাধ্যমে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের দায়িত্বশীল করাই উদ্দেশ্য। পুঁজিবাজারে পতনের আগে অনেক পরিচালক তাঁদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিলেন। 


২০২০ সালের জুলাইয়ে বিএসইসির নতুন নেতৃত্ব ৪৪টি তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে ৬০ দিনের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের যৌথভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ করে শেয়ারধারণের নির্দেশ দেয়। দফায় দফায় সুযোগ বাড়ালেও ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ১৫টি কোম্পানি শুধু এই নির্দেশনা পরিপালন করে।


শেয়ার করুন