০৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১০:৩৫:২৯ অপরাহ্ন
গোমতী নদীর পানি ঘণ্টায় বাড়ছে ১০ সেমি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২৫
গোমতী নদীর পানি ঘণ্টায় বাড়ছে ১০ সেমি

গত কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে গোমতী নদীর পানি প্রতি ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। এরই মধ্যে নদীর বাঁধের ভেতর ফসল ও বসতি ডুবতে শুরু করেছে। তবে নদীর পানির উচ্চতা বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিপৎসীমার আড়াই মিটার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান।


এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা জেলায় ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোমতীর চরে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ারও সতর্কতা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। 



 

এ ছাড়া টানা ভারি বৃষ্টিপাতের শহরের নিন্মাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নিচু এলাকাগুলোতে। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে গোমতী নদীর টিক্কার চর, চানপুর ব্রিজ ও সংরাইশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কিছু কিছু স্থানের চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।


সংরাইশ বেড়িবাঁধের সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক মো. বাবুল সরকার বলেন, ‘গতকাল পানি কম ছিল ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি পানি ঘরের একদম কাছে চলে আসছে।


আমরা খুব আতঙ্কে আছি। গত বছর বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছিল। এলাকার লোকজন মিলে আমাদের নতুন ঘর তুলে দিয়েছিল। আবার যদি ঘর ভেসে যায়, তাহলে আমাদের পথে পথে থাকতে হবে।

ঝাঁকুনিপাড়া এলাকার বেড়িবাঁধের ওপর দোকানদার সেলিম উদ্দিন  জানান, ‘গতকাল বিকেলেও এত পানি ছিল না। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পানি অনেক বেড়েছে। এভাবে বাড়তে থাকলে বিকেলের মধ্যে পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যেতে পারে।’ 


এ বিষয়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভির আহমেদ বলেন, ‘গোমতীর পানি এখনো বিপৎসীমার ১০ ফুট নিচে আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।


তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে পানি না এলে পরিস্থিতি তেমন খারাপ হবে না।’


 

তিনি আরো বলেন, ‘গোমতীর চরে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। হঠাৎ পানি এভাবে বাড়বে, তা আমরা আগে বুঝতে পারিনি। আমরা সরেজমিনে গোমতীর পাড় ঘুরে দেখছি।’ 


কুমিল্লা জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, কুমিল্লায় বিকাল ৩টা থেকে আজ বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১২৯ মিলিমিটার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদিনও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কুমিল্লার পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলেও ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। 


কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খাঁন মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানান, বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানির উচ্চতা ৮.৩ মিটার পর্যন্ত উঠেছে।  বিপৎসীমা ১১.৩ মিটার। আমাদের পর্যবেক্ষণের প্রতি ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার করে গোমতী নদীর পানির উচ্চতা বাড়ছে। টানা বৃষ্টির ওপর নির্ভর করছে আমরা কতটুকু বিপদের মুখে আছি।


শেয়ার করুন