০৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ০৪:২১:২৪ অপরাহ্ন
‘এভাবে খেলে কখনো জিতব কখনো হারব’
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২৫
‘এভাবে খেলে কখনো জিতব কখনো হারব’

‘মুস্তাফিজ এমনিতে ভালো ফিল্ডার। তবে ও মাত্রই ইনজুরি থেকে ফিরেছে, ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে’, পাল্লেকেলে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ১৬ রানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে এভাবে একের পর এক সতীর্থদের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। রাতে উইকেট আরো ব্যাটিং সহায়ক হওয়ার পরও দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা স্বীকার করলেও ব্যাটারদের হুড়োহুড়ির সমালোচনা করতে চাননি তিনি। তবে একটা বাস্তবতা স্বীকার করেছেন মিরাজ,‘আমরা এভাবে খেলে কখনো জিতব, কখনো হারব।


বাংলাদেশ কিভাবে খেলেছে? শ্রীলঙ্কার বোলারদের ওপর চড়াও হতে গিয়ে তুলে মেরেছে ব্যাটাররা। কিন্তু পাল্লেকেলের সীমানা বড়। তাই ক্যাচ গেছে সীমানা প্রহরায় দাঁড়ানো লঙ্কান ফিল্ডারদের হাতে। অথচ টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কাকে সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন কুশল মেন্ডিস।


তাঁর ১২৪ রানের ইনিংসে ১৮টি চারের মারের সঙ্গে একটি ছক্কাও নেই। তারমানে, বাউন্ডারির দৈর্ঘ্যরে কারণে তুলে মারার ঝুঁকি নেননি কুশল। সেটি মাঠে দাঁড়িয়ে দেখেও কেন ওরকম তুলোধুনো করতে চাইলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

জবাবে মিরাজ বলেছেন,‘আমাদের ব্যাটাররা এভাবে খেলেই অভ্যস্ত।


যার যেটা ন্যাচারাল খেলা, তাকে সেটা খেলতে দেওয়াই ভাল। এভাবে খেলেই আমরা কখনো জিতি, কখনো হারি।’ পরিসংখ্যান বলছে, হারের পাল্লাই ভারি। আর অধিনায়কের দর্শন বলছে, এভাবে ব্যাটিং করে এই পরিসংখ্যান আপাতত বাংলাদেশের পক্ষে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা নেই!

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জানিথ লিয়ানাগের মহামূল্য উইকেট নেওয়া ছাড়া বিবর্ণ দেখিয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানকে। ব্যাটিংয়ে তাঁর কাছে রানের দাবি থাকে না।


তাই বলে ফিল্ডিংয়ে এভাবে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াবেন তিনি? জবাবে মিরাজ নতুন তথ্য দিলেন,‘মুস্তাফিজ এমনিতে ভাল ফিল্ডার।’  চোট থেকে ফিরেছেন, তাই এই তারকা ক্রিকেটারের বাজে ফিল্ডিংয়ের সমালোচনা এড়িয়ে গেছেন অধিনায়ক।

পাল্লেকেলের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য একাদশ গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের নামটা উঠেছিল কিনা, সে প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন,‘দেখুন, আগের ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছে তানভির (ইসলাম)। ম্যাচ জিতিয়েছে। এমন একজনকে বসিয়ে অন্য কাউকে খেলানো কঠিন।’ 

এত কথা ভিড়ে মিরাজের হারের ব্যাখ্যার চৌম্বক অংশ পাল্লেকেলের উইকেট নিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৬ রান তোলা তাঁর কাছে মোটেও অসম্ভব মনে হয়নি। কারণটা তিনি নিজেই বলেছেন,‘উইকেট ভাল ছিল। রাতে আরও ভাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা ব্যাটাররা পারিনি।’ 


এই না পারার পেছনে আরেকটি অদৃশ্য বিষয়ের প্রভাব আছে বলে মনে হলো অধিনায়কের কথায়,‘এমন ম্যাচে আবেগের ব্যাপার থাকে।’ প্রেমাদাসায় দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে ফেরা। এবং এরপর ক্যান্ডিতে এসে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জয়ের স্বপ্ন তাহলে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মনের ওপর কী বাড়তি চাপ তৈরি করেছিল? সিরিজ হেরে সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসা মেহেদী হাসান মিরাজের এ কথা তেমন ইঙ্গিতই দেয়। 


শেয়ার করুন