৩০ জুন ২০২৫, সোমবার, ১১:৪৩:৫১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরাতে চীন ইতিবাচক: মির্জা ফখরুল
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৬-২০২৫
বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরাতে চীন ইতিবাচক: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরাতে চীন ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।


সম্প্রতি পাঁচদিনের চীন সফর করে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। এ সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


বিএনপির প্রতিনিধিদলের চীন সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সফরে এক চীন নীতির প্রতি বিএনপির দৃঢ় অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে।



সম্প্রতি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল চীন সফরে গিয়েছিল। দলে আমিও ছিলাম। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রয়োজন জানানোর পর চীন ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে। এ নিয়ে দেশটি প্রস্তাব দিলে ভবিষ্যতে ইতিবাচকভাবে দেখবে বিএনপি।


সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আলোচনা করেছি এবং আমরা আমাদের যে প্রয়োজন সেটি ব্যাখ্যা করেছি। তারা (চীন) ইতিবাচকভাবে সায় দিয়েছেন। এটির ওপর তারা কাজ করছেন। আমরা ভবিষ্যতে সরকার পরিচালনার দায়িত্বে এলে বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে দেখব।


রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে—জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চীন বলেছে, অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে তারা এ বিষয়টির ওপর কাজ করছেন। মিয়ানমার সরকারকে তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন।


বাংলাদেশে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে চীনের সমর্থন ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রতিনিধিদল তিনবার চীন সফর করেছে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরানোর ব্যাপারে চীনের মনোভাবটা কী দেখছেন—এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অত্যন্ত পজিটিভ।’


পার্শ্ববর্তী (ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে) একটি দেশের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক গত দেড় দশকে অনেকটাই টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গেছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই কি আপনারা চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বটা আরও দৃঢ় করার চেষ্টা করছেন। এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার বিষয়ে চীনের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। আমরা কিন্তু আমাদের নীতি থেকে কখনো সরিনি। তাইওয়ানের একটা ট্রেড সেন্টার এখানে কয়েকদিনের জন্য হয়েছিল। তারপর সেটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।



মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল চীন সফরে গিয়েছিল। দলে আমিও ছিলাম। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ছিলেন।


তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সফর বিনিময় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য। এরই ধারাবাহিকতায় এর আগেও বিএনপির প্রতিনিধিদল চীন সফর করেছে।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমরা এর অধিকতর প্রয়োগিক দৃষ্টান্ত দেখার অপেক্ষায়, যেন আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও সফর বিনিময়, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে আরও দৃঢ়তর হতে পারে। আমরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে চীন সরকারকে অধিকতর ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছি।


শেয়ার করুন