রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়ে এক নেতা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে নগরের রানীবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে।
রেস্তোরাঁটির মালিক এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম। সেখানে জেলা কমিটির কয়েকজন নেতা একত্রিত হলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে।
আহত নেতার নাম ফিরোজ আলম। তিনি জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ রয়েছে, এনসিপির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু (বাড়ি: কাটাখালী) তাকে বুকে লাথি মারেন, যার ফলে ফিরোজ আলম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রামেক হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় দেখা গেছে, বুধবার রাত ১২টায় ফিরোজ আলমকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার স্ত্রী সাথী খাতুন জানান, ফিরোজ আলম বর্তমানে আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন, তবে চিকিৎসকরা তাকে কথা বলতে নিষেধ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নেতা নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, “ভাই, এটা সমাধান হয়ে গেছে। আমি হাসপাতালের সামনেই আছি। ফিরোজের কাছে যাচ্ছি।”
তবে কী নিয়ে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা ব্যক্তিগত না, আবার সাংগঠনিক বিষয়ও না। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন সব সমাধান হয়ে গেছে।”
দলের প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম ও বোয়ালিয়া থানার ওসির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এনসিপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এমন সহিংসতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের অনেক নেতাকর্মী।
