২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০১:০৯:০১ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৬-২০২৫
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা নিজ নিজ দায়িত্ব ফেলে রোগীদের ট্রলি ঠেলছেন এবং বিনিময়ে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করছেন টাকা। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এসব কর্মচারীকে নিয়মিত মজুরি দিয়ে থাকে।


বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ চিত্র দেখতে পায়। একই অভিযানে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ভাড়া নির্ধারণেও ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ে।


দুদক সূত্র জানায়, রামেক হাসপাতালের আউটডোর ডিসপেনসারির ফার্মাসিস্ট ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওষুধ সরবরাহে অনিয়মের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে চার সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শর্ট স্লিপে উল্লেখিত ওষুধের পরিমাণ ও খরচের মধ্যে মিল নেই। ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে—মন্টিলুকাস, ফেকসু, মেটফরমিন, ওরস্যালাইন, মেট্রো, ডায়াগন টু, জিটিএন ও প্যারাসিটামল। একইসঙ্গে মেইন স্টোরের ফার্মাসিস্ট মীর শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে।


অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা স্টোর রুমের রেকর্ডপত্র পরীক্ষা করেছি। প্রাথমিক তদন্তে ট্রলি পরিচালনায় দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অনিয়ম এবং অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হাসানুল হাসিব বলেন, “অভিযানে যাদের নাম এসেছে, তাদের জানানো হয়েছে। প্রত্যেককে তার নির্ধারিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে ওষুধ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “এ ধরণের অভিযোগ প্রায়ই আসে। আমরা এটিকে গুরুত্ব দিচ্ছি না।”

শেয়ার করুন