০৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ০৬:১১:৫০ অপরাহ্ন
মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলেও মুক্তি মেলেনি সাবেক এমপির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৬-২০২৫
মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলেও মুক্তি মেলেনি সাবেক এমপির

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আসাদুজ্জামান আসাদ মায়ের মৃত্যুর পরও প্যারোলে মুক্তি পাননি। তবে, সোমবার (২ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটেই শেষবারের মতো মৃত মায়ের মুখ দেখার সুযোগ পান তিনি।


আসাদ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তিনি গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি।


সোমবার বিকেলে ৮০ বছর বয়সে মারা যান আসাদের মা সালেহা বেগম। তার মৃত্যুর পর বড় ছেলে আসাদের প্যারোলে মুক্তির জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়।


স্বজনেরা জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তবে মানবিক বিবেচনায় কারাফটকে মৃত মায়ের মুখ একনজর দেখার সুযোগ দেওয়া হয়।


আসাদের বাড়ি রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকায়। তিনি ৭ ভাইবোনের মধ্যে বড়। তাদের পাঁচ ভাই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আসাদ কারাগারে, অন্য চার ভাই আত্মগোপনে। ফলে তারা কেউই মায়ের মুখ দেখতে আসতে পারেননি।


সালেহা বেগমের তৃতীয় সন্তান আক্তারুজ্জামান ছিলেন একমাত্র ছেলে যিনি শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে পেরেছেন। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। জীবিকা নির্বাহ করেন প্রাইভেটকার চালিয়ে। বিকেলে বাড়িতে গিয়ে মায়ের মুখ দেখলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় আক্তারুজ্জামান জানাজায় অংশ নিতে পারেননি।


রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান জানান, আসাদ প্যারোলে মুক্তি না পাওয়ায় মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলগেটে আনা হয়।


তিনি বলেন, ‘মানবিক কারণে মরদেহটি দূর থেকে তাকে দেখানো হয়েছে।’


এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।


শেয়ার করুন