০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১০:১৭:১৩ অপরাহ্ন
১০ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৫-২০২৫
১০ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ

দশ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা। শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলা শহরের ৮৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিচ্ছেন ৫ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানান, দীর্ঘ বিরতির পর সারাদেশব্যাপী এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।


ভর্তি পদ্ধতিতে পরিবর্তন

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধুমাত্র এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে আবারও পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।


কোন বিভাগে কতটি কেন্দ্র

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২৪৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এরপর খুলনা বিভাগে ১৫৬টি, রাজশাহীতে ১৪৩টি, চট্টগ্রামে ১৩৪টি, রংপুরে ৯৬টি, বরিশালে ৫৯টি এবং সিলেট বিভাগে ৪৪টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি কলেজ ছাড়াও স্থানীয় কিছু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।


পরীক্ষার ধরণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি

ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে, মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে। সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে এবং ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না। পরীক্ষায় পাস নম্বর নির্ধারিত হয়েছে ৩৫।


চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বর, এসএসসি পরীক্ষার জিপিএর ৪০ শতাংশ এবং এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে।


ভর্তিযোগ্য আসন ও কোটা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি। ডিগ্রি (পাস) কোর্সে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি।


প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন সংরক্ষিত থাকবে বিভিন্ন কোটার জন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩টি, আদিবাসী কোটা ১টি, প্রতিবন্ধী কোটা ১টি এবং পোষ্য কোটা ৩টি।


শেয়ার করুন