১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ০৬:০৯:৩০ অপরাহ্ন
জবি আন্দোলনে সংহতি, সরকারের সিদ্ধান্তে মুক্তিজোটের উদ্বেগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৫-২০২৫
জবি আন্দোলনে সংহতি, সরকারের সিদ্ধান্তে মুক্তিজোটের উদ্বেগ

 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিক দাবিগুলো সরকারকে দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিজোট প্রধান আবু লায়েস মুন্না। আজ সকাল ১১টায় ঢাকার মতিঝিলে একটি হোটেলে মুক্তিজোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।


তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন, জমি ও হল উদ্ধারে সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বিগত তিন দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।”


এছাড়া সভায় তিনি রাখাইনদের জন্য প্রস্তাবিত মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে ‘জাতীয় স্বার্থবিরোধী’ আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের পাশেই আমাদের নৌ ও সেনা ঘাঁটি রয়েছে। সেখানে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। নির্বাচিত সরকারের আগে এমন সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে।”


তিনি আরো বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা না রেখে এই সরকারের আমলে নতুন করে আরও ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন তারা শুধু চট্টগ্রাম বিভাগেই নয়, পঞ্চগড় থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করছে, যা দেশের জন্য ভয়াবহ সংকেত।”


সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে থাকা সরকার এখনো আহতদের চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা করতে পারেনি। আহতদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি এবং মব জাস্টিসের মতো প্রবণতা উদ্বেগজনক।”


তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দেশ ও জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চললে বর্তমান সরকারকেও অতীতের সরকারের মতো জনগণের রোষানলে পড়তে হবে।”


সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজামাল আমিরুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য মো: মজিবুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহেল আহমেদ সোহেল, দপ্তর সম্পাদক উত্তম কুমার ঘোষ, শ্রমিক মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মো: রাসেদুল ইসলাম খোকন, যুব মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মো: আব্দুল আউয়ালসহ আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন