বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমসে লিংক অনলাইন সিস্টেম কাজ না করায় বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে রাজস্বের ওপর। পণ্যজট দেখা দিয়েছে পেট্রাপোল বন্দরে। গত তিন দিন ধরে এ পরিস্থিতি চলছে।
বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় এক হাজারের অধিক ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। পেট্রাপোল কাস্টমসে লিংক অনলাইন সিস্টেম কাজ না করায় রোববার সারা দিনে মাত্র ৩৬ ট্রাক কাঁচামালের চালান আমদানি হয়। এর আগে গত শনিবার সারা দিন আমদানিকৃত ১৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। তবে বেনাপোল দিয়ে রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
ভারতে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পেট্রাপোল কাস্টমস ও বন্দরে লিংক সার্ভিস টাটা কোম্পানি দিয়ে থাকে। গত সোমবার দুপুরে ঝড়ের পর লিংক সমস্যা দেখা দিয়েছে। টাটার কলকাতা অফিস সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। এখন দিল্লির ডিজি সিস্টেম মনিটর করছে। কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ অনলাইন সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিছু পণ্য ছাড় করছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, সাধারণত প্রতিদিন প্রায় ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। রোববার সারাদিনে আমদানি হয়েছে মাত্র ৩৬ ট্রাক এবং রপ্তানি হয়েছে ১১১ ট্রাক পণ্য। ২৮ এপ্রিলের পর পণ্য আমদানি ও রপ্তানি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম। এর প্রভাবে বাংলাদেশের অনেক শিল্প কলকারখানায় কাঁচামালের সংকট দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, আমরা ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সর্বদা কথা বলে যাচ্ছি। তারা বলছে সমস্যাটা দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে। আশা করা যায় দুই-একদিনের মধ্যে এই লিংক সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। তাদের লিংক না থাকায় ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি ও রপ্তানি একটু ব্যাহত হচ্ছে।
