৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:১৮:২১ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে বেকার যুবক-যুবতীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে পেকিন হাঁস
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৩-২০২৪
রাজশাহীতে বেকার যুবক-যুবতীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে পেকিন হাঁস

রাজশাহীর বেকার যুবক-যুবতিদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে উন্নতজাতের বেইজিং বা পেকিন হাঁস। এ হাঁস পালন করে ইতোমধ্যে অনেক যুবত-যুবতিরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। সেই সাথে দেশী হাঁসের চাহিদাও মেটাচ্ছে এই বেইজিং বা পেকিন হাঁস। দেশি হাঁসের চেয়ে এ হাঁস পালনে খরচ, অল্প দিনে মাংস ও ডিম হওয়ায় পেকিন হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন রাজশাহীর বেকার নারী-পুরুষরা। সম্পুর্ন কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চা উৎপাদন, স্বল্প জায়গায় খামার করে এ হাঁস পালন করে অল্প দিনেই স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে বেকার নারী-পুরুষরা স্বল্প পুজিঁতে এ হাঁস পালন করে বেকারত্ব দুর করার পাশাপাশি পুরণ হচ্ছে মাংস ও আমিষের চাহিদা।


রাজশাহীর পবা, মোহনপুর, তানোর ও বাগমারা উপজেলায় এ হাঁস বাণিজ্যিকভাবে পালন শুরু হয়েছে। এ চারটি উপজেলায় প্রায় শতাধিক খামারে পালন হচ্ছে পেকিন হাঁস। মূলত এই হাঁস পালনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে রাজশাহীর মোহনপুরের জাহানাবাদ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত শতফুল এনজিও। সমন্বিত কৃষি ইউনিট (প্রাণি সম্পদ খাত) পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থয়ানে এনজিও শতফুল এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।



বর্তমান রাজশাহীতে দেশী হাঁসের মাংস ও ডিমের চাহিদা অনেক। এই দেশি হাঁসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের রেষ্টুরেন্ট ও হোটেল। দেশি হাঁসের চাহিদা বেশি থাকায় এর দামটাও বেশ চড়া। এরই প্রেক্ষিতে উন্নতজাতের বেইজিং বা পেকিন হাঁস রাজশাহীতে দেশী হাঁসের চাহিদা পুরণ করছে।


পেকিন হাঁসের খামার ঘুরে দেখা গেছে, এ হাঁস দেখতে অনেকটাই দেশী হাঁসের মত। আকার বা গায়ের রং দেশি হাঁসের মতই সাদা। প্রথমে দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি বিদেশী হাঁস। পেকিন হাঁস দুই ধরনের। একটি ডিম উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়, অন্যটি মাংসের জন্য। এ হাঁস মাত্র ৫০ দিনের মধ্যে খাওয়ার উপযোগি হয়। উৎপাদন খরচও কম। একটি হাঁস ৫০ দিন পালন করে বিক্রির উপযোগি করতে খরচ হয় সাড়ে তিন থেকে চারশ টাকা। আর এ হাঁস বাজারে বিক্রি হয় সাড়ে সাতশ থেকে আটশ টাকায়।


দেখে গেছে, উন্নতজাতের এ পেকিন হাঁস পালনে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। স্বল্প জায়গায় খামার করে তার সাথে ড্রেনের মত নালা করে সেই নালায় পানি দিয়ে দিনে একবার গোসলের ব্যবস্থা করলেই হয়। খাবারও দেশি হাঁসের চেয়েও অনেক কম লাগে। বিশেষ করে এ হাঁস ৯০ দিনের মধ্যে ডিম দেয়া শুরু করে। দুই বছর পর্যন্ত এ হাঁস ডিম দিয়ে থাকে। এ হাঁস মোটাতাজা করণের জন্য বয়লার গোয়া ও ডিমের জন্য লেয়ার ফিড খাওয়ানো হয়।


শেয়ার করুন