 
                         
                    
                                            
                        
                             
                        
গুনে গুনে সাড়ে সাত বছরের বেশি সময়ের অপেক্ষা। প্রতীক্ষার প্রহর যেন ফুরোয় না। একজন মানুষের জন্য পৃথিবীতে সবচেয়ে আপনজন মা; তার জন্য এতো সময় অপেক্ষা...ভাবা যায়! অবশেষে মায়ের ছোঁয়া পেলেন তারেক রহমান। এ এক অন্যরকম স্পর্শ। মা-ছেলের ভিন্ন রকমের মিলন। স্বর্গীয় অনুভূতি। যেটি কোনো ভাষায়, ছন্দে কিংবা পংক্তিতে প্রকাশ করা যায় না।
সত্যিই এই আবেগ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই সাড়ে সাতটি বছর কীভাবে যে কেটেছে দুজনের। ছেলেকে কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন খালেদা জিয়া। চলৎক্ষমতা থাকলে হয়তো দাঁড়িয়েই বুঁকে জড়িয়ে ধরতেন। চলাফেরার অবলম্বন হুইল চেয়ারে বসেই তারেক রহমানকে বুকে টেনে নেন। চৈত্রের ক্ষরাক্লিষ্ট ভূমি যেমন বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে সঞ্জীবনী শক্তি ফিরে পায়; নিশ্চয়ই তারেক রহমানের মনেও আজ একই অবস্থা। এতোদিন পর মায়ের ছোঁয়া-আবেশ পেয়ে হৃদয়ে খুশির জোয়ার বইছে। মা-ছেলের পুনর্মিলের মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী যারা তাদের চোখের কোনে অজান্তেই পানি এসে যায়। এটি আনন্দাশ্রু। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদার রহমানও। যিনি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জীবন সংগ্রামের জীবন্ত ডায়েরি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার সকালে ৯ টার (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায়) পরপর হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া লন্ডনে পৌঁছান। টার্মিনালে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার হযরত আলী খান।

