০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৪:৫৭:০৮ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে সাবেক এমপির ছেলেকে অপহরণ: মুক্তিপণ দাবি, মধ্যস্থতায় মুক্তি
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১১-২০২৪
রাজশাহীতে সাবেক এমপির ছেলেকে অপহরণ: মুক্তিপণ দাবি, মধ্যস্থতায় মুক্তি

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হকের ছেলে রেজাউন-উল হক তরঙ্গকে (২৭) অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদলের মধ্যস্থতায় তরঙ্গকে মুক্তি দেওয়া হয়।


তরঙ্গের মা নার্গিস খাতুন জানান, তার স্বামী রাহেনুল হক সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন এবং অসুস্থতার কারণে আজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যায় কারাগারের সামনে অপেক্ষারত তরঙ্গকে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা অপহরণ করে।

তরঙ্গ মোবাইলে তার মাকে জানান, তাকে পদ্মা নদীর ধারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে তাকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।

নার্গিস আরও জানান, এ সময় ছাত্রদল-যুবদলের কয়েকজন স্থানীয় নেতা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাকে শান্ত করেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তরঙ্গকে লালন শাহ মুক্তমঞ্চে তার মামাতো ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান বলেন, তরঙ্গ আগে ছাত্রলীগ করতেন, এ কারণে স্থানীয় কিছু ছেলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আটক করে। ছাত্রদলের নেতারা বিষয়টি জানার পর তার মুক্তির ব্যবস্থা করেন।

মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মর্তুজা ফারিন বলেন, ‘আমাদের পরিচিত একজনের আত্মীয় হওয়ায় তরঙ্গকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তবে কারও কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি এবং তাকে মারধর করা হয়নি।’

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু তরঙ্গের মা কোনো লিখিত অভিযোগ করতে রাজি হননি। ওসি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

তরঙ্গের মা নার্গিস খাতুন বলেন, কোথাও অভিযোগ করব না। বিষয়টি আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিলাম।’

রাজশাহী-৬ আসনের সাবেক এমপি রাহেনুল হক সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। তার মুক্তির জন্য পরিবারের সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন। তবে এই অপহরণের ঘটনায় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাদের সম্পৃক্ততার দাবি উঠলেও কেউ দায় স্বীকার করেনি।

শেয়ার করুন