 
                         
                    
                                            
                        
                             
                        
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ঢাকায় চলে আসেন। এরপর জীবনযুদ্ধে নেমে পড়েন। প্রথমে কুলির কাজ করেন। এর পর রিকশা চালানো, হোটেলে কাজ, চাল বিক্রি করাসহ যখন যে কাজ পেয়েছেন, তাই করেছেন।
ড্রাইভিং শিখে পিএসসিতে চাকরি পাওয়ার পরই তার ভাগ্য খুলতে থাকে। বর্তমানে তিনি বিপুল সম্পত্তির মালিক। ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার স্বপ্নও দেখছেন। নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন তিনতলা বাড়ি, বাড়ির পাশে একটি পাকা মসজিদ ও বাগান। কিনেছেন বহু ফসলি জমি।
গাড়িচালক হয়ে আপনি এত সম্পদের মালিক কীভাবে? গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আবেদ আলী বলেন, ‘গাড়িচালক ছিলাম ১৫ বছর আগে, এখন তো ব্যবসায়ী।’
প্রশ্নফাঁসে যে টাকা আয় করেছেন সব আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। ফাঁসে কত টাকা কামিয়েছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে আবেদ আলী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসে যে টাকা কামাই করেছি, সব খরচ করেছি আল্লাহর রাস্তায়।’
তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে কোনোদিন অসদুপায় অবলম্বন করিনি। গায়ে খেটে ভাগ্য পরিবর্তন করেছি।’
গত ১২ জুন ফেসবুকে নিজের আইডিতে পোস্ট করা এক ভিডিওর ক্যাপশনে এ কথা লিখেছিলেন তিনি।
রোববার রাতে বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে।
এদিকে, গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সোমবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

