০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৩:২৪:২৩ অপরাহ্ন
সুবিধা পেতে সর্বোচ্চ জোর
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০২-২০২৪
সুবিধা পেতে সর্বোচ্চ জোর

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এবারও বাণিজ্য সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ জোর দেওয়া হবে। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ কারণে ওই সময়ের পরও আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে আরও ছয় বছর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা বহাল রাখার লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বল্পোন্নত বা এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।


এরই অংশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার শর্ত পরিপালনে সম্প্রতি ৪৩টি পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমানো হয়। পর্যায়ক্রমে কৃষি, মৎস্য এবং শিল্পজাত পণ্য উৎপাদনে ভর্তুকি হ্রাস করা হবে। এ ছাড়া উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার অন্যান্য শর্ত পরিপালনে বেশকিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আবুধাবিতে ১৩তম ডব্লিউটিও আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের পক্ষে এবারের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের দক্ষ প্রতিনিধিদল। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে তাঁর প্রথম কোনো বিদেশ সফর।


বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও অনুবিভাগ থেকে বৈঠকে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের প্রত্যাশা এবং চাওয়াগুলো তুলে ধরা হবে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সম্প্রতি ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে তিনি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে আরও বেশি ভূমিকা রাখার জন্য কাউন্সিলরদের নির্দেশনা প্রদান করেন।


একইসঙ্গে তিনি জানান, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সামনে রেখে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলা করতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। এ লক্ষ্যে ডব্লিউটিও’র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে সরকার।


জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে ডব্লিউটিও’র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক থেকে বাংলাদেশের অর্জন খুবই সামান্য। এর আগে ২০১২ সালে রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক রপ্তানির অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি বা শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়। শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সরকার টু সরকার, টিকফা এবং ডব্লিউটিও’র বৈঠকে আলোচনা করা হলেও তাতে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং দীর্ঘ এই সময়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেকদূর এগিয়েছে।


এমন বাস্তবতায় এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ হবে উন্নয়নশীল দেশ। এরপর ২০৩০ সালের পর মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা পাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের ভিশন দিয়ে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। তবে এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বেশকিছু চ্যালেঞ্জ যুক্ত হবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।


শেয়ার করুন