২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:৪৮:০৪ অপরাহ্ন
ভোটের বিবাদ মেটাতে বসছে আওয়ামী লীগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০২-২০২৪
ভোটের বিবাদ মেটাতে বসছে আওয়ামী লীগ

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ‘বিশেষ বর্ধিতসভা’ ডেকেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলের মধ্যে এখনো যে বিবাদ চলছে, তা সমাধানের লক্ষ্যেই মূলত এই বিশেষ সভা ডাকা হয়েছে।


সভা শুরু হবে সকাল ১০টায় গণভবনে। সভাপতিত্ব করবেন শেখ হাসিনা। ৎসোমবার দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষ বর্ধিতসভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। উপস্থিত থাকবেন জেলা/মহানগর এবং উপজেলা, থানা কিংবা পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়রগণ এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদেরও সভায় উপস্থিত থাকতে হবে।


একাধিক সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নৌকার প্রার্থী ও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে


এখনো বিশৃঙ্খলা চলছে। কোথাও কোথাও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। আলাদা আলাদা দলীয় কর্মসূচির আয়োজনও দেখা গেছে। এসব বিষয় সমাধানের লক্ষ্যেই মূলত এই সভা ডাকা হয়েছে।


দলের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আগামী স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়া নিয়েও দলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। অন্যদিকে তৃণমূল আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। ফলে এখানে প্রতীকবিহীন নির্বাচনে কেন্দ্র ও স্থানীয় নির্বাচনে করণীয় নির্ধারণ হতে পারে।’


খুলনা বিভাগের একজন আওয়ামী লীগের নেতা জানান, তিনি সুযোগ পেলে তার এলাকার চিত্র দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর তুলে ধরবেন। দলীয় কোন্দল নিরসন না হলে যে স্বপ্ন নিয়ে শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন, তা অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হবে।


সভার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘এ ধরনের সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয়গুলো বেশি প্রাধান্য পায়। তা ছাড়া জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনপরবর্তী দলের অবস্থান জানা ও দলীয় কোন্দল মীমাংসায় উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া সামনে উপজেলা, ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এসব নির্বাচনে প্রতীক না থাকলেও দল থেকে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’


স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে জোর দিতে চায় আওয়ামী লীগ। এ জন্য কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সমন্বয় করা হবে। শনিবারের সভায় এ বিষয়েও আলোচনা হবে বলে মনে করেন বাহাউদ্দিন নাছিম।


এদিকে বিশেষ বর্ধিতসভা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, সভার অতিথিরা বিজয় সরণি দিয়ে জাতীয় সংসদের লেক রোড হয়ে গণভবনের এক নম্বর ফটক দিয়ে প্রবেশ করবেন। গাড়ি রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রসংলগ্ন মাঠে।


শেয়ার করুন