২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ১১:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন
আরও এক মামলায় ইমরানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড, একই দণ্ড স্ত্রী বুশরারও
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০১-২০২৪
আরও এক মামলায় ইমরানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড, একই দণ্ড স্ত্রী বুশরারও

সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার একদিন পরই অপর একটি মামলায় তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সময় আজ বুধবার সকালে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত দেশটির দুর্নীতি দমন বিষয়ক বিশেষ আদালত তাঁকে এই কারাদণ্ড দেয়। তোশাখানা মামলায় তাদের এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 


পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর আদালতের বিচারক মোহাম্মদ বশির এই মামলার রায় দেন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে—যেখানে ইমরান খান বন্দী—স্থাপিত এক বিশেষ আদালতে এই রায় দেওয়া হয়।


আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, এই রায় কার্যকর হওয়ার পর আগামী ১০ বছর কোনো রাষ্ট্রীয় পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না তাঁরা। একই সঙ্গে, তাদের দুজনকে প্রায় ৭৯ কোটি (৭৮ কোটি ৭০ লাখ) পাকিস্তানি রুপি করে জরিমানাও করা হয়েছে। মামলার রায়ের সময় বুশরা বিবি উপস্থিত ছিলেন না। 


আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনের ঠিক ৮ দিন আগে এই রায় দেওয়া হলো। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস বা সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 


পাকিস্তানের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় স্থাপিত এক বিশেষ আদালত এ রায় দিয়েছে। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই রায়কে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথাও জানিয়েছে পিটিআই। 


সাইফার মামলায় ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড সাইফার মামলায় ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড 

ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই সাইফার মামলা মূলত একটি কূটনৈতিক নথি বা তারবার্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির অভিযোগ, এই নথি ইমরান খান সরকারের কাছ থেকে নিয়ে নিজের কাছে রেখেছেন এবং কখনোই ফেরত দেননি। পিটিআইয়ের অভিযোগ, এই নথিতে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির প্রমাণ আছে। 


ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে এই রায় এমন এক সময়ে এল, যখন দেশটির গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আর মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সে বিষয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশন ব্যাপক পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। পিটিআইয়ের অভিযোগ, সরকার তাদের বিরুদ্ধে অলিখিত ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। 


এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খানের সাজা হলো। এর আগে রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে উপহার নেওয়ার মামলায়ও তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট দেওয়া সেই রায়ে ইমরান খানের তিন বছরের সাজা হয়। তবে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাঁর সাজা স্থগিত করেছিলেন। পরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই সাজা স্থগিতের বিষয়টি বাতিল করেন।


শেয়ার করুন