০৩ মে ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:৩৭:৪১ অপরাহ্ন
কঠোর হচ্ছে বাজার তদারকি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০১-২০২৪
কঠোর হচ্ছে বাজার তদারকি

অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। বিদায়ী বছরের ধারাবাহিকতা নতুন বছরেও দৃশ্যমান। বৈশ্বিক অস্থিরতাকে পুঁজি করে বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়টাতে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও নতুন সরকার দায়িত্ব পরপরই চড়তে শুরু করে বাজারের উত্তাপ। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে চাল, ডাল, মাছ, মাংস, ডিম, তেল, পেঁয়াজের মতো ভোগ্যপণ্যের দাম। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ঠুনকো অজুহাতে দফায় দফায় বাড়াচ্ছে জিনিসপত্রের দাম। বিপাকে সাধারণ মানুষ। অবশ্য সরকারও এবার খড়গহস্ত। প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বাজারে কারসাজির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বারবার। তৎপরতাও খানিকটা লক্ষ্যণীয়। বিশেষত রমজান মাস সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার।

টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের ওপর। সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। যে কোনো মূল্যে মূল্যস্ফীতি কমানোর তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা পেয়ে তৎপর হয়েছে উঠেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলো। রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজারে লাগাম টানতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। এদিকে, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সরকারের যে সদিচ্ছা, তা বাস্তবায়নের জন্য সমন্বিত বাজার তদারকির কাজ করতে হবে। তবেই সরকার সফল হবে। মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

নতুন দায়িত্ব নেয়া মন্ত্রীরা সবাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম দিন দপ্তরে গিয়েই আহসানুল ইসলাম টিটু বাজার সিন্ডিকেট ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। আর পণ্যের মজুতদারিদের দমন করা হবে শক্ত হাতে। তিনি বলেন, উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও কারসাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটি প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগে কথার কথা বলা হতো। এখন বাস্তবায়ন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবারও টিসিবির চলতি জানুয়ারি মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় প্রতিমন্ত্রী একই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, যারা সৎভাবে ব্যবসা করবে, তাদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে। তবে


যারা মজুতদারি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে সরকার একটুও পিছপা হবে না।

এদিকে গতকাল বিকালে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে ভোজ্যতেল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে সিন্ডিকেট শব্দের ব্যবহার ভুলে যেতে চাই। সিন্ডিকেট মুক্ত স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা গড়তে চাই। ভোক্তাদের কষ্ট দূর করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার জন্য সব সময় সচেষ্ট। বাজারে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে জাতীয় প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বিরাজমান থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, আমরা এমন একটা বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে চাই যেখানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বড় ধরনের বিপর্যয় না হলে দেশে পণ্য সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না।

এ সময়, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতরা আমদানির ক্ষেত্রে ডলার সংকটের পাশাপাশি গ্যাস সংকটের কথা তুলে ধরে বলেন, সরকার নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখলে দেশে কোনো পণ্যের ঘাটতি থাকবে না। জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ডলার সংকট সমাধানে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং গ্যাস সংকটে দূর করতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে কথা বলে সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

সরকারের কঠোর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের লোকজন চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে সরকার কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে তা দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন তিনি। পাশাপাশি আমদানিনির্ভর সব নিত্যপণ্যের মজুত মনিটরিংয়ের আওতায় এনে সরকারিভাবে মজুত বাড়াতে হবে বলে জানান তিনি। গোলাম রহমান বলেন, সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিলে অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করার সাহস পাবে না। তিনি বলেন, আগের অর্থমন্ত্রী মনে করতেন দেশের অর্থনীতির জন্য মূল্যস্ফীতি ভালো। কিন্তু এখনকার অর্থমন্ত্রী মুদ্রাস্ফীতি কমানোকে গুরুত্ব দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এই প্রতিশ্রæতি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলছে। এ বাজার বিশ্লেষক বলেন, শুধু ধরপাকড় কিংবা জরিমানা করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এজন্য পলিসি একশন দরকার। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফিসকেল পলিসি, মনিটরিং পলিসির মতো যেসব সর্বজন স্বীকৃত ব্যবস্থা রয়েছে- এগুলো যদি নেয়া হয়, পাশাপাশি বাজার তদারকি জোরদার করা হয় তাহলে সুফল মিলবে। অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য কেউ বেআইনি কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুততার সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তাহলেই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি। একই সঙ্গে ধরপাকড় করার ক্ষেত্রে যারা ভালো তাদের যেন শাস্তি দেয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তথ্য অনুযায়ী, রমজানে কিছু পণ্যের চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। সেটাকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী প্রায় প্রতি বছরই সাধারণ মানুষের পকেট কাটে। এবার যেন সেই সুযোগ না পায় সেজন্য আগেভাগেই সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে রমজান মাসে চাহিদা বেড়ে যায় এমন আট পণ্যের এলসিতে নগদ জমা বা মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব পণ্য হলো- ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর। ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনেও এসব পণ্যের এলসি খোলা যাবে। গত বুধবার ১৭ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধার আওতায় ঋণপত্র খোলা যাবে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দেয়া ওই নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করার মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুরের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহকের সম্পর্কের ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দেয়া হলো।

এদিকে, দায়িত্ব নেয়ার পরই নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দাম বাড়ার প্রবণতাকে সরকারের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কথা বলেছেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ যে হিসাব দিয়েছে তাতে দেখা যায়, গত ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ হয়েছে। এটা গত সাত মাসে সর্বনি¤œ। এই সময়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আগের মাসে যা ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। কিন্তু চালের দাম বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি যে সামান্য কমে স্থিতিশীল হয়েছে তা কতটা ধরে রাখা যাবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চালের দাম কমাতে মজুতদারদের চার দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন বুধবার। একটি মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে চালের দাম না কমলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে চাল আমদানি করে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই আট বিভাগে অভিযান চালানোর কথাও বলেন মন্ত্রী।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মেয়াদের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। সেখানে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার টার্গেট নেয়া হয়েছে। যদিও এটা কতটুকু সম্ভব হবে- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সাসেম) নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, মূল্যস্ফীতি সামান্য কমলেও এতে স্বস্তির কিছু নেই। আশঙ্কার বিষয় হলো, চালের দাম কোনো কারণ ছাড়াই বাড়তে শুরু করেছে। তিনি বলেন, বিবিএস মূল্যস্ফীতির যে হিসাব দেয় প্রকৃত মূল্যস্ফীতি আরো বেশি। নি¤œবিত্ত মানুষ খাদ্যপণ্যসহ যেসব পণ্য কেনে, তার দাম বেশি। ফলে তাদের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি। বাজার মনিটরিং ছাড়াও এখন অর্থনেতিক সংস্কারগুলো দ্রুত শুরু করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন ভোরের কাগজকে বলেন, ব্যবসায়ীরা নানা অযুহাতে বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ান। তাই কঠোর মনিটরিং করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঠিকমতো বাজার মনিটরিং না করলে সুবিধাবাদী একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়। তাই গভীরভাবে বাজার পর্যালোচনা করা উচিত সরকারের। নাজের হোসাইন আরো বলেন, বাজার তদারকি বললেই আমরা মনে করি বাজারে গিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর লোক দেখাশোনা করবে- বিষয়টি তা নয়। তদারকিটা আসলে আমদানিকারক, পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ী- এ তিন জায়গাতেই করতে হবে। পাশাপাশি মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দূর করতে ‘কৃষকের বাজার’ চালু করা জরুরি। এসব বিষয়গুলো নিয়ে একত্র কাজ করলেই হবে সমন্বিত বাজার তদারকি। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজার তদারকি একটি অংশ মাত্র। এর বাইরেও অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। যেমন রমজানের ৮ পণ্যে সরকার শূন্য শুল্কে আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এটা ভালো দিক।


শেয়ার করুন