২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১০:৫১:৫২ অপরাহ্ন
বাঘায় স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতি দাবি করায় ঘাড় ধাক্কা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২৩
বাঘায় স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতি দাবি করায় ঘাড় ধাক্কা

রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তারের পিতৃত্ব চাওয়ায় স্বামী ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশিপুর (হরিপুর) গ্রামের এই ঘটনা ঘটেছে।


জানা যায়, বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশিপুর (হরিপুর) গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ কাফির সাথে চারঘাট উপজেলার পাটিয়াকান্দি গ্রামের সামসুদ্দিন শেখের মেয়ে মমেনা খাতুনের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তারপর প্রথম স্বামীকে ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারী তালাক দেয়। পরে ২০২১ সালের ১ মে গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে ১০ লক্ষ টাকা মোহরনা ধার্য করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ৮ মাসের সন্তান সম্ভাময় হয়। এ সময় তার পিতার কাছে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এই যৌতুক দিতে না পারায় তাকে নির্যাতন শুরু করে। নিরুপায় হয়ে মমেনা খাতুন বাদি হয়ে রাজশাহীর আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করে।


এ বিষয়ে মমেনা খাতুন বলেন, বুধবার দুপুরে ১৩ মাসের সন্তান আবদুল মোত্তালেবকে কোড়ে নিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তারের পিতৃত্বের দাবি নিয়ে স্বামীর বাড়িতে যায়। এ সময় স্বামী মোহাম্মদ কাফি ঘাড় ধাক্কা দিযে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। আমি এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি।


মোহাম্মদ কাফি বলেন, ১০ লক্ষ টাকার জাল কাবিননামা তৈরী করে আমার নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমিও বাদি হয়ে জাল কাবিননামার বিরুদ্ধে রাজশাহীর আদালতে ২০২২ সালের ১৪ আগষ্ঠ মামলা দায়ের করেছি। মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। তারপরও একটি সন্তান কোড়ে নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিল। আমি বলেছি, যা হবে আদালতে হবে। আমি বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি।


এ বিষয়ে রাজশাহীর অপারাজিতা খান ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নিমপাড়া ইউনিয়নের নারী সদস্য নুরিয়া খাতুন বলেন, মমেনা খাতুনকে নিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা ও ১৩ মাসের সন্তানের পিতৃত্বের দাবি নিয়ে তার স্বামীর বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু এ দাবি মেনে না নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগাজার করে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমার সাথে ছিলেন সংগঠনের সদস্য ও ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের নারী সদস্য শিপ্লা খাতুন।

এ বিষয়ে মনিগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার তুলশিপুর (হরিপুর) গ্রামের লেলিন উদ্দিন মতিন বলেন, আমার জানা মতে উভয়ের করা আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তবে কোলে একটি সন্তান নিয়ে তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর অনেক লোকজন সেখানে জড় হয়েছিল।


শেয়ার করুন