০৪ মে ২০২৪, শনিবার, ০১:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন
কুমারী পূজায় ভক্তদের ঢল, আজ মহানবমী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১০-২০২৩
কুমারী পূজায় ভক্তদের ঢল, আজ মহানবমী

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসবমুখর পরিবেশে মহাঅষ্টমীতে কুমারীরূপে দেবী দুর্গার আরাধনা করলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। রোববার সকাল থেকেই ঢাকার গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে হাজার হাজার পুণ্যার্থী ভিড় করতে থাকেন। ঢাকের বাদ্য, কাঁসরঘণ্টা, শঙ্খের আওয়াজ আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো প্রাঙ্গণ। এছাড়া সকাল থেকেই দেবী দুর্গার আরাধনায় মণ্ডপে মণ্ডপে চলে পূজা আর চণ্ডীপাঠ। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামকৃষ্ণ মিশনে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মহাঅষ্টমী পূজা শুরু হয়। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে হয় পুষ্পাঞ্জলি। বেলা ১১টায় শুরু হয় কুমারী পূজা। পূজা শেষে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, এ বছর কুমারী মা হয়েছেন শতাক্ষী গোস্বামী। তার বাবার নাম শ্যামল গোস্বামী, মা রীতা গোস্বামী। রাজধানীর নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী শতাক্ষী গোস্বামী। তার জন্ম ২০১৮ সালে।


শাস্ত্রমতে, মানববন্দনা, নারীর সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং ঈশ্বরের আরাধনাই কুমারী পূজার শিক্ষা। যে ত্রিশক্তিতে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের চক্রে আবর্তিত হচ্ছে, সেই শক্তি কুমারীতে বীজ আকারে আছে। এ বিশ্বাসেই হিন্দু ধর্মের মানুষেরা কুমারীকে দেবী দুর্গা হিসাবে আরাধনা করেন অষ্টমীতে। পূজার আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন লাল শাড়ি, গয়না, পায়ে আলতা, ফুলের মালা এবং অলংকারে সাজানো হয় দেবীরূপে। পদ্মফুল হাতে দেবী পূজার আসনে বসার পর মন্ত্রপাঠ আর স্তুতিতে তার বন্দনা করা হয়।


আজ সোমবার মহানবমীর সকালেও বিহিত পূজা হবে এবং সন্ধ্যায় হবে সন্ধিপূজা। পরে মঙ্গলবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।


শেয়ার করুন