২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১০:২২:০৪ পূর্বাহ্ন
৩০০ রানের ইঙ্গিত দিয়ে বাংলাদেশ করল ২৫৬
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১০-২০২৩
৩০০ রানের ইঙ্গিত দিয়ে বাংলাদেশ করল ২৫৬

ফিনিশারের প্রমাণ আরেকবার দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ দিকে দলের ত্রাতা হয়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং এক সংগ্রহ এনে দিয়েছেন তিনি। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ভারতকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। 


পুনেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি নিয়ে যে চিন্তা সেই জুটি আজ ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছে। শুরুতে দেখে শুনে খেলা তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস থেকে বের হন। দুজনে মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ৯৩ রান করেন। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান। আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ৬৯। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেন। 


দুর্দান্ত শুরুটাতে একটা সময় তিন শ রানের স্বপ্নও দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তানজিদের বিদায়ে উল্টো চিত্র দেখেছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি করার পরেই এলবিডব্লিউ হন কুলদীপ যাদবের বলে। ২২ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার ৫১ রান করেন ৪৩ বলে। উদীয়মান ব্যাটারের আউটের পরেই পথ হারায় বাংলাদেশ। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে একসময় স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ১৩৭ রানে ৪ উইকেট। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ফিফটি করে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন লিটন। ৬৬ রানের সময় রবীন্দ্র জাদেজাকে লং অফে বড় শট খেলতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়ে আসেন শুবমান গিলের হাতে। 


সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়। ধাক্কা সামলিয়ে বেশ ভালোই খেলছিলেন বগুড়ার দুই কীর্তি ব্যাটার। কিন্তু হঠাৎ বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন হৃদয়। তাঁর আউটের মধ্যে দিয়ে দুজনের ৪২ রানের জুটিও ভেঙে যায়। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ফিনিশিং দেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। কিন্তু নিজে ৩৮ রানে আউটে হয়ে ভায়রা ভাই রিয়াদকে একা করে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার। 


৪৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলার পথে একটি মাইলফলকও ছুঁয়েছেন মুশফিক। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন তিনি। তাঁর আগে এই কীর্তি গড়েছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের ১২০১ রানের বিপরীতে ১০৩৪ রান মুশফিকের। 


ফিনিশার হিসেবে পরিচিত মাহমুদউল্লাহ নিজের দক্ষতা আরেকবার প্রমাণ করেছেন। নাসুম আহমেদের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৩২ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দিয়েছেন তিনি। ৪৬ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান এনে দিয়েছেন তিনি। ৩৬ বলের ইনিংসটি সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় সাজিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আড়াই শোর ওপর স্কোর দাঁড় করান পেসার শরীফুল ইসলাম।


শেয়ার করুন