২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৬:২৭:০৮ অপরাহ্ন
পরিত্যক্ত ম্যাচে প্রাপ্তি মোস্তাফিজ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৯-২০২৩
পরিত্যক্ত ম্যাচে প্রাপ্তি মোস্তাফিজ

বারকয়েক বৃষ্টির পর সন্ধ্যা ৭টায় আবার মাঠে নেমেছিল দুই দল। উইকেটের কাছাকাছি যেতেই আবার তাদের তাড়া করল বৃষ্টি। এবার খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত করেই ছাড়ল বৃষ্টি।


বৃষ্টি ম্যাচ ভাসিয়ে নেওয়ার আগে মিরপুরে চেনারূপে দেখা মিলেছিল মোস্তাফিজুর রহমানকে। ম্যাচে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি এটিই। মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজের ঔজ্জ্বল্য একসময় নিয়মিত হলেও গত দুই বছর নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন নিজের ‘প্রিয়’ ভেন্যুতেও। এই মাঠে দুই বছরে ৫ ওয়ানডেতে মাত্র ১টি উইকেট পেয়েছেন ফিজ।


গতকাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে যে ৭ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন, ২৭ রানে মোস্তাফিজ তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। তাঁর সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদও ছিলেন দুর্দান্ত। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তুলতে পারে। আর ৪.৩ ওভার যেতেই শুরুতে বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে ম্যাচের পরিধি কমিয়ে ৪২ ওভার করা হয়।


নতুন বলে দুই কিউই ওপেনার—ফিন অ্যালেন ও উইল ইয়ংয়ের কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। নড়বড়ে অ্যালেন ইনিংসের ৭ম ওভারেই মোস্তাফিজের দারুণ এক আউটসুইয়ে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। অ্যালেনের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৯ রান। ৯ম ওভারে আবারও বোলিং আক্রমণে এসে উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ। চ্যাড বয়েসকে ফেরালেন ১ রানে। পাওয়ার প্লের ৯ ওভারে ২ উইকেটে মাত্র ১৯ রান তুলেছিল অতিথিরা।


বিশ্বকাপের আগে মোস্তাফিজের স্বরূপে ফেরা ছিল দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন।তাঁর কাছে নিউজিল্যান্ড সিরিজ হচ্ছে নিজেকে আরও ভালোভাবে শাণিয়ে নেওয়ার সিরিজ। মোস্তাফিজ সেটি ভালোভাবেই কাজে লাগালেন। শুরুতেই টাপাটপ দুই উইকেট নিয়ে মিরপুরের মাঠে ওয়ানডে সংস্করণে ৫০ উইকেট শিকার হলো তাঁর।


গত দুই বছরে তাসকিন আহমেদ পেস আক্রমণের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার আগে মোস্তাফিজ ছিলেন দলের প্রধান বোলার।দুই বছরে তাঁর অন-অফ ফর্ম চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টকে। একাধিক ম্যাচে বেঞ্চেও বসে থাকতে হয়েছিল তাঁকে।


তাসকিন, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদকে বিশ্রাম দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মোস্তাফিজকে সুযোগ দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেনও তিনি। শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটে ইয়ং ও হেনরি নিকোলসের ৯৭ রানের জুটিতে চড়ে যখন কিউইরা এগোতে চাইছিল তখন ব্রেক-থ্রুও দেন মোস্তাফিজ। ৪৪ রানে এলবিডব্লুতে ফেরান নিকোলসকে। দলের বিপর্যয়ে ইয়ং খেলেন ৯০ বলে ৫৮ রানের এক মন্থর ইনিংস। পরে ইয়ং ও রাচিন রবিন্দ্রকে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান নাসুম।


৭ ওভারে ১ মেডেনে ২৭ রানে ৩ উইকেট—মোস্তাফিজের এই বোলিং বিশ্লেষণী তো আছেই। নতুন বলে সুইং, অ্যাকুরিসি, নিখুঁত লাইন-লেংথ ফিজকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে নিশ্চিত। দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ নিক পোথাসও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাঁহাতি পেসারকে, ‘খুবই রোমাঞ্চকর। ফিজ অনেক পরিশ্রম করছে গত মাস থেকে। নতুন বলে ছন্দ খুঁজে পেতে অনেক চেষ্টা করছে। অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে অনেক কাজ করছে। সেটির ফল দেখতে পাচ্ছেন। বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে এটি দেখা যাচ্ছে। তাকে নিয়ে আমরা খুশি।’


শেয়ার করুন