২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৩:২৯:৩০ অপরাহ্ন
৬৫ হাজার পরিবারকে বিনা মূল্যে গবাদি পশু-পাখি দেবে সরকার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৯-২০২৩
৬৫ হাজার পরিবারকে বিনা মূল্যে গবাদি পশু-পাখি দেবে সরকার

ঢাকার চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষকে বিনা মূল্যে গরু, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি-কবুতর বিতরণ করতে চাইছে সরকার। নির্বাচনের আগে অনুমোদন পেতে যাওয়া ৩০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের সুবিধা পাবে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার চরাঞ্চলের প্রায় ৬৫ হাজার পরিবার। 


প্রকল্পটি আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করবে পরিকল্পনা কমিশন। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেকে অনুমোদন পেলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করবে। 


প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছে, ঢাকা বিভাগের ৬টি জেলার ৩১টি উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষ এ প্রকল্পের আওতায় আসবে। এর মাধ্যমে নদীতীরবর্তী চর এলাকার ৬৫ হাজার ২৯০টি দরিদ্র পরিবার বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশু ও পাখি পাবে। যাতে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। এ কার্যক্রমের সুবিধা পেয়ে চর এলাকায় দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। 


‘মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নদীবিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩০৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ১০টি পশুসম্পদ প্যাকেজের মাধ্যমে পশু ও পাখি বিতরণ করা হবে। এর সঙ্গে পশু-পাখির ঘর, খাদ্য, ভ্যাকসিন এবং ওষুধও দেওয়া হবে। 


বেশির ভাগ পরিবারই পাবে হাঁস-মুরগি-কবুতর। এক-চতুর্থাংশ পরিবার পাবে গরু-ছাগল। প্রকল্পের আওতায় ৩২ হাজার ৯০০ পরিবারকে ২৩টি মুরগি ও দুটি মোরগ দেওয়া হবে। ১৬ হাজার ৪৫০ পরিবার পাবে ১৮টি হাঁসি এবং ৩টি হাঁসা। পাখির পাশাপাশি ৩৬০ পরিবারকে কবুতর ও কোয়েল পাখি দেওয়া হবে। 


৮ হাজার ২২০টি পরিবারকে দেওয়া হবে দুটি করে ছাগল। প্রজননের মাধ্যমে ছাগলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তি আয় সংস্থানের জন্য ১ হাজার পরিবারকে দুটি করে পাঁঠাও দেওয়া হবে। 


প্রকল্পের আওতায় এক বছর বয়সী প্রতিটি বকনা বাছুর কেনা হবে ৯০ হাজার টাকায়। প্রতিটি ভেড়া ও ছাগল কেনা হবে ১১ হাজার ২০০ টাকায়। মুরগি ও হাঁস কেনা হবে ৪২০ টাকা করে। 


প্রকল্পটির বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মলয় কুমার শূর আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পটি ২০২০ সাল থেকে প্রক্রিয়াধীন ছিল। নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুরুতে ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল না, তা করতে হয়েছে। অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগেছে। নতুন প্রকল্পের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়েরই কিছু থোক বরাদ্দ দেওয়া থাকে। এ প্রকল্পের অনুমোদন পেলেও থোক থেকে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে।


শেয়ার করুন