২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০১:৫৪:১১ অপরাহ্ন
‘ইসলামকে ব্যবহার করে যারা ক্ষমতায় যেতে চায়, তাদের ভোট দেবেন না’
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৮-২০২৩
‘ইসলামকে ব্যবহার করে যারা ক্ষমতায় যেতে চায়, তাদের ভোট দেবেন না’

আজ শনিবার দুপুরে হাটহাজারীতে উপজেলার ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসায় ‘জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী, ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সব শহীদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকা ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সমাবেশে শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। 


দীপু মনি বলেন, ‘এ দেশে ইসলামের নামে ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ ও মানুষ হত্যা করেছিল। অথচ পবিত্র ইসলামে নরহত্যাকে পাপ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবুও একটি গোষ্ঠী সত্যকে গোপন করে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।’ 


দীপু মনি আরও বলেন, ‘ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর ধর্মের অপব্যবহার করে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, নিপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়ে দেশের শান্তি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে নানা রকম দাঙা-ফাসাদ তৈরি করছে। তবে তারা তো কখনো ইসলামের বন্ধু হতে পারে না।’ 


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে ইসলামি শিক্ষাকে উচ্চশিক্ষায় রূপ দিতে আরও সম্প্রসারিত এবং আরও বেশি দক্ষ ও যোগ্য জনবল তৈরির জন্য ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন। তা ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং মাদ্রাসাশিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ২০১৫ সালে পৃথক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর ফলে মাদ্রাসাশিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলে সমপর্যায়ে ভুক্ত করেছেন। 


এ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সুপারিশপ্রাপ্ত ২৮ হাজার শিক্ষককে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।’ 


জাতীয়করণকৃত স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আন্তমন্ত্রণালয়গুলো কাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়াটি নির্বাচনের আগে সম্পন্ন করা হবে। পাশাপাশি অসুপারিশপ্রাপ্তদের কাম্য যোগ্যতা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে তাঁদেরও জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে।’


মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজন ওই সমাবেশে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-৫ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। 


মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। 


মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ) আবুল বাসার ও ছিপাতলী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা শফিউল আজমের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন হাটহাজারীর ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ মাওলানা হাসান মাসুদ, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হান্নান, অধ্যক্ষ মাওলানা হোসেন আহমেদ ও প্রভাষক মো. শান্ত ইসলাম প্রমুখ। 


এর আগে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত-পরবর্তী জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ৯৯ উপজেলার সহস্রাধিক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন