ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে ফেনীতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
রায় ঘোষণার পর সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে শহরের রাজাঝি দিঘিরপাড় এলাকায় পৌরসভা প্রাঙ্গণের দেয়ালে থাকা টাইলসে খোদাই করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে আন্দোলনকারীরা এ ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে।
একই রাতে শহরের মাস্টারপাড়া এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর বাগানবাড়ির প্রধান ফটকে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয় মুহাইমিন তাজিম বলেন, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বসিত ছাত্র–জনতা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুর করে। পরে দুই দিন আগে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর বাড়ির সামনে অগ্নিসংযোগ করেছে।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হন, তিনি অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্তে যাবে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্ষতি হলে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও তদন্ত করতে পারে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা কোথায় কী করেছে, এ বিষয়ে পুলিশের কোনো তথ্য নেই।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের দিনেও শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ভাঙচুর এবং মাস্টারপাড়ায় নিজাম উদ্দিন হাজারীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

