চলতি বছরের এইচএসসির লিখিত পরীক্ষার খাতা (উত্তরপত্র) নির্ভুলভাবে মূল্যায়নের জন্য সময়সীমা বাড়িয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এতে করে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকরা আগের নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে অতিরিক্ত দুই দিন বেশি সময় পাবেন।
সম্প্রতি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোমধ্যে পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়নের সুবিধার্থে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় বৃদ্ধির কারণে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকরা আরো সতর্ক ও নির্ভুলভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে সক্ষম হবেন।
তবে কোন বিষয়ের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য কত তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে বা এখন সর্বোচ্চ কত দিনের মধ্যে খাতা জমা দিতে হবে—সেই সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বোর্ড সূত্র বলছে, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রাখা হয়েছে, যাতে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অপ্রয়োজনীয় চাপ বা অনিয়মের সুযোগ তৈরি না হয়।
শুধু পরীক্ষকদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, তারা সময়সীমার ভেতরে খাতা মূল্যায়ন সম্পন্ন করে বোর্ডে জমা দিতে বাধ্য থাকবেন।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় খাতা মূল্যায়নে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকে। বোর্ড নির্ধারিত প্রধান পরীক্ষক প্রথমে পরীক্ষকদের জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা তৈরি করেন এবং কোন প্রশ্নে কত নম্বর ও কিভাবে উত্তর মূল্যায়ন করতে হবে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। পরীক্ষকরা সেই নির্দেশনা অনুসারে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা দেন।
প্রধান পরীক্ষক সব খাতা যাচাই করে দেখেন এবং কোথাও অসংগতি থাকলে তা সংশোধন করে থাকেন।