মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ফোর মার্ডার ও হরিরামপুর থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইভি আক্তারের আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ আদেশ দেন।
সকাল ৯টার দিকে হরিরামপুর থানা থেকে মমতাজ বেগমকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জ আদালতে আনা হয়।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিন খান বলেন, হরিরামপুর থানায় দায়ের হওয়া ভাঙচুর মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ মামলাসংশ্লিষ্ট অনেক তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে। সেসব তথ্য আমরা তদন্ত করে দেখছি।
এর আগে ২২ মে সিংগাইর থানায় দায়ের হওয়া ফোর মার্ডার মামলায় মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্দুন নূর চার দিন এবং একই দিনে হরিরামপুর থানায় দায়ের হওয়া নাশকতা মামলায় আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইভী আক্তার। সেজন্য গত ২৭ মে সিংগাইর থানার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় মমতাজ বেগমকে হরিরামপুর থানায় রেখে সিংগাইর থানার এ মামলা তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড শুনানি করেন। সিংগাইর থানার রিমান্ড শুনানি শেষে গত ৩০ মে পুনরায় হরিরামপুর থানায় দুই দিনের রিমান্ডের জন্য নেওয়া হয় মমতাজ বেগমকে। সেখানকার রিমান্ড শুনানি শেষে রোববার তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিংগাইর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম উদ্দিন জানান, হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা সেই তথ্যের আলোকে তদন্ত করছি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সিংগাইরের গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে একটি মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। দীর্ঘ এক দশক পর চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর ওই ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির স্বজন মজনু মোল্লা বাদী হয়ে মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।