খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, শরীরচর্চার অভাব ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন—এই সব কারণে দ্রুত হারে বাড়ছে উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরলের সমস্যা। এমনকি এখন অনেক তরুণ-তরুণীর মধ্যেও ৩০ এর আগেই দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। অনেক সময় জিনগত কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে ওষুধের পাশাপাশি প্রয়োজন খাদ্যাভাসের দিকেও নজর দেওয়া। পুষ্টিবিদদের মতে, হাই কোলেস্টেরলের মতো মেটাবলিক সমস্যা মোকাবিলায় নিরামিষ খাবারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। উদ্ভিজ্জ খাদ্যে থাকে না কোলেস্টেরল, বরং এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিয়ট্রিয়েন্টস, স্টেরল ও স্ট্যানল। যা রক্তে কোলেস্টেরল শোষণ কমাতে সাহায্য করে।
চলুন, জেনে নিই কোন কোন নিরামিষ খাবার হাই কোলেস্টেরলে উপকারী।
ওটস ও ডালিয়া
ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান নামের দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ওটসের সঙ্গে ডালিয়া বা কিনোয়াও রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
বিভিন্ন ডাল
মসুর, মুগ, ছোলা বা কাবুলি চানা—এই ডালগুলিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন।
প্রতিদিন ১ কাপ ডাল খেলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
আমন্ড বা কাঠবাদাম
ভেজানো আমন্ডে রয়েছে হেলদি ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল। এটি শরীরের প্রদাহ কমায় এবং রক্তনালিতে প্লাক জমতে দেয় না।
গ্রীষ্মকালীন সবজি
লাউ, কুমড়া, ঢ্যাঁড়শ, পটল, ঝিঙা—এই ধরনের মৌসুমি সবজিতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
সঙ্গে রাখুন মৌসুমি ফলও।
পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত এই নিরামিষ খাবার খাওয়ার সঙ্গে ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।