৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
দুর্ভোগ নিরসনে নেই কার্যকর উদ্যোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৩-২০২৪
দুর্ভোগ নিরসনে নেই কার্যকর উদ্যোগ

সড়কপথে ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর তেমন উদ্যোগ নেই। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো যানজটপ্রবণ ১৫৫টি স্পট চিহ্নিত করেছে। চিহ্নিত স্থানগুলোতে কীভাবে যানজট নিরসন করা হবে সে বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট পথ নকশা ঘোষণা হয়নি।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সেতু, ফ্লাইওভার ও সড়কে টোল ফ্রিসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

যানজট নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার বিষয়টিও স্বক্রিয় বিবেচনায় নেই। জনপ্রতিনিধি বা তার লোকজন এ কাজে অংশ নিতে চাইলে কেউ বাধা দিবে না-বিষয়টি এ অবস্থায় রাখা হয়েছে।

এসবের বাইরে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নতুন কোনো উদ্যোগও নেই। ফলে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ আনন্দযাত্রা দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই শেষ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে ঈদ আনন্দ যাত্রায় দুর্ভোগ বাড়ায় যানজট। এর অনেকগুলো কারণ আছে। মহাসড়কে নিয়মিত বাসের বাইরে, ফিটনেসহীন বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার এবং বাইক ঈদের সময় যাত্রী বহন করে।

বেশিরভাগ সময় ফিটনেসহীন বাসগুলো যাত্রী নেওয়ার জন্য মহাসড়কের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে থাকে। যাতে পেছনের কোনো বাস তা অতিক্রম করে যাত্রী নিতে না পারে। এতে পেছনের যানবহনগুলোর গতি শ্লথ হয়ে যায়। যানজটের শুরু এখান থেকেই। এটা ক্রমে দীর্ঘ হতে থাকে।

এছাড়া ট্রাক, পিকআপে চুক্তিতে যাত্রী তোলা হয়। দীর্ঘ যাত্রায় প্রায় সময়ই পিকআপগুলো মহাসড়কে বিকল হয়ে পড়ে। যাত্রীসমেত বাহনটি মহাসড়ক থেকে সরানো যায় না বা পেছন থেকে ক্রেন গিয়ে পিকআটটি রাস্তা থেকে তুলে আনবে সে সুযোগও প্রায় থাকে না বললেই চলে। এখান থেকেও শুরু হয় দুর্বিষহ যানজট।

অনভিজ্ঞ চালকের হাতে মাইক্রোবাস বা মিনিবাস দ্রুত গতিতে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। এতে মানুষের প্রাণ ও সম্পদহানিসহ যানজট তৈরি করছে। এছাড়া সেতু, ফ্লাইওভার ও সড়কে ম্যানুয়াল পদ্ধতির টোল আদায়ের ফলেও যানজটের সৃষ্টি হয়।

গত ২১ মার্চ রাজধানীর বনানীস্থ বিআরটি অফিসে আন্তঃসংস্থার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন পরামর্শ আসে। সেসব পরামর্শ আমলে নেওয়া হয়নি।

ওই সভায় সাবেক নৌ-পরিবহণমন্ত্রী মো. শাহজাহান খান পরামর্শ দিয়েছিলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হানিফ ফ্লাইওভার, বঙ্গবন্ধু সেতুসহ সব সেতু, ফ্লাইওভার ও সড়কের টোল ফ্রি করে দেওয়া।

এই কদিনের টাকা সরকার ভুর্তকি দেবে। তাহলে যানজট অনেকাংশে লাঘব হবে। ওই সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে সড়ক, সেতু ও ফ্লাইওভারে টোল ফ্রি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ঈদের ছুটি বাড়ানোরও পরামর্শ আসে। অন্যদিকে যাত্রীকল্যাণ সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে ঈদের আগে ছুটি দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।

কিন্তু এসব পরামর্শ ও দাবি বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্টরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা তৎপর হলে আসন্ন ঈদযাত্রা অনেকাংশে নির্বিঘ্ন করার সুযোগ রয়েছে।

শেয়ার করুন