৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
দাম কমল ডলারের, বাড়ল বিটকয়েনের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-১০-২০২৩
দাম কমল ডলারের, বাড়ল বিটকয়েনের

বিশ্বের বেশ কিছু মুদ্রার বিপরীতে মান কমেছে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা মার্কিন ডলারের। ফলে বিভিন্ন দেশের রিজার্ভের দাম কমে যাওয়া আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিপরীতে বেড়েছে বিটকয়েনের দাম। এমন এক সময়ে এই সংবাদ এল যখন, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ দেশটির অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে আলোচনায় বসবে।


বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সূচকে গত শনিবার ডলারের মান ছিল ১০৫ দশমিক ৪৭। কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকালে সেই মান অন্তত দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল সংকটের সময়ে ডলারের মানের এই পতন বিগত কয়েক দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।


ডলারের দাম কমলেও বাজারে তেজিভাব দেখিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা বা বিটকয়েন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিটকয়েনে লেনদেনের অনুমতি দিতে যাচ্ছে এমন জল্পনার মধ্যেই বাড়ল বিটকয়েনের দাম।


যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ার জেরোমি পাওয়েল গত সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সক্ষমতা রাখে। এরপর ডলারের মান কিছুটা বেড়েছিল। এমনকি বিগত ১০ বছরে যে মান কমেছিল, তার চেয়েও ৫ শতাংশ বেশি বেড়েছিল। যা আবার ২০০৭ সালের পর সর্বোচ্চ। ডলারের মানের অবনমনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনিটা এসেছে গত ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তা ও ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি ডলারের মানের অবনমনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিল।


এদিকে, বিনিয়োগকারীরা তাকিয়ে রয়েছেন—যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী নীতি নির্ধারণী বৈঠকের দিকে যা আগামী ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি, মূল্যস্ফীতি এবং উৎপাদন ও সেবা খাতের বর্তমান ট্রেন্ড বিষয়ক প্রতিবেদন (পিএমআই) প্রকাশ করা হবে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সিটি ইনডেক্সের বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলেন, এই পিএমআই তথ্য-উপাত্ত হয়তো চলতি অর্থ বছর বাজারের প্রত্যাশা কী হবে সে বিষয়ে ইঙ্গিত দেবে।


ম্যাট সিম্পসন আরও বলেন, ‘যদি পিএমআই তথ্য-উপাত্ত বাজারে একমুখী প্রবণতা দেখায় তবে ডলার শক্তিশালী হবে বা যদি বিপরীতটা হয় অর্থাৎ কোনো ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে ডলারের মানে চিড় ধরতে পারে।’


বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, বাজারের চরিত্র যাই হোক না কেন—ডলারের মান ধরে রাখতে সুদ হার নির্দিষ্টই অর্থাৎ আগেরটাই রাখবে ফেডারেল রিজার্ভ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সুদ হার না বাড়ানোর পথে হাঁটছে।


শেয়ার করুন