২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ০৮:০৪:১৭ অপরাহ্ন
১০ বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১০-২০২৩
১০ বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ

দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের সাফল্য ব্যাপক। করোনার মধ্যেও বিশ্বের যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৫৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কার্যকর ভূমিকা রাখা, উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে মৎস্য খাত ভূমিকা অব্যাহত রেখে চলেছে।


গ্রামীণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি সর্বোপরি দারিদ্র্য দূরীকরণে মৎস্য খাতের অবদান অনস্বীকার্য। করোনা সংকটের মধ্যেও দেশে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।


জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২২’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাষের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে (ছয় বছর ধরে পঞ্চম অবস্থানে ছিল), যা ২০২২ সালে মৎস্য খাতের অনন্য এক অর্জন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধনে কাজ করছে সরকারমাছ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধনে কাজ করছে সরকার


জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনার মধ্যেও বিশ্বের যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ এক কোটি ৯৫ লাখ বা ১২ শতাংশের বেশি মানুষ মৎস্য খাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মাছ ও চিংড়িসহ অন্যান্য জলজ সম্পদের স্থায়িত্বশীল উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের পুষ্টিচাহিদা পূরণ এবং রফতানি আয় বৃদ্ধি ও অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে উন্মুক্ত জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ ক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত সুফলের মাধ্যমে দরিদ্র্য মৎস্যজীবী ও চাষি তথা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।


বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের চারটি উৎস রয়েছে। এগুলো হলো—অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়, অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়, আধালোনা পানির জলাশয় ও সামুদ্রিক জলাশয়।


শেয়ার করুন