২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১১:৪৫:০৯ পূর্বাহ্ন
প্রধান শিক্ষককে পেটালেন দুই সহকারী শিক্ষক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২৩
প্রধান শিক্ষককে পেটালেন দুই সহকারী শিক্ষক

বরিশাল সদর উপজেলার কাগাশুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের সামনেই মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। হামলার শিকার প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগমের নির্দেশে তার অনুসারী দুই শিক্ষক স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাকে মারধর করেন।


তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের ধর্মের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সাইফুল্লাহ ও শারীরিক শিক্ষক মোখলেছুর রহমান ক্লাস না নিয়ে লাইব্রেরিতে আড্ডা দিচ্ছিলেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ঘটনার প্রমাণ রাখতে মোবাইল ফোনে তাদের ভিডিও ধারণ করেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি টের পেয়ে ওই শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ছিনিয়ে নেন এবং তাকে টেনেহিঁচড়ে লাইব্রেরির মধ্যে নিয়ে মারধর করেন। প্রধান শিক্ষক আত্মরক্ষায় দৌড়ে গিয়ে স্কুল মাঠে অবস্থান নেয়। সেখানে গিয়েও শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে মারধর করা হয় প্রধান শিক্ষককে। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।


প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই দুই শিক্ষক হামলা করেছে তার ওপর। ভাইস চেয়ারম্যানের দুর্নীতি এবং অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আগেও আমাকে মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করেন। মঙ্গলবার দুপুরে হামলার ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ বলে দাবি করেন।


তিনি আরও বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচিত হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় স্কুলে যোগদান করেন। ‘সরকারি বিধান মতে, জনপ্রতিনিধি থাকা অবস্থায় স্কুলে শিক্ষকতা করলেও ওই শিক্ষক কোনো ধরনের বেতনভাতাসহ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। অথচ ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা সম্মানির পাশাপাশি স্কুলের বেতনভাতা ভোগ করেন।


জানা গেছে, এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।


এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম বলেন, ঘটনার সময় আমি ডিসি অফিসে মিটিংয়ে ছিলাম। হামলার খবর পেয়ে আমি দুপুরে স্কুলে যাই।


শেয়ার করুন