২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৯:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন
রংপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৮-২০২৩
রংপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

রংপুরের আইডিয়াল জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মানিক চাঁদ (৫৫) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকেই ভুল চিকিৎসায় মানিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর মেয়ে সূর্য মণি (৩৫)।

মানিক চাঁদের বাড়ি গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ীর রামনগর গ্রামে। রংপুর শহরের আর কে রোডে ওই হাসপাতালটির অবস্থান।


পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যায় ঘাড়ের টিউমার অপারেশনের জন্য মানিক চাঁদকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর টিউমার অপারেশন শুরু হয়। এ সময় মানিকের জ্ঞান না থাকলে তাঁকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বজনদের জানান, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।


মানিকের মেয়ে সূর্য মণি অভিযোগ করেন, বেলা ২টায় তাঁর বাবার টিউমারের অপারেশন করার কথা ছিল ডাক্তারের। কিন্তু তখন না করে সন্ধ্যায় অপারেশন করতে যাওয়ায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কঠিন শাস্তি চান বলে জানান।


সূর্য মণি আরও বলেন, ‘কার কাছে বিচার চাইব? মামলা করি-বা কী হইবে। ওমার (ক্লিনিক মালিক) ম্যালাগুলো ট্যাকা। সবাকে কিনে নেবে। পরে বলবে, তোমার বাবা হার্ট অ্যাটাক করি মারা গেইচে। দেশোত কি গবিরের বিচার আছে?’


জানা গেছে, মানিক চাঁদের স্ত্রীর নাম চান মণি।  তাঁদের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে তিনটি বড়। তাঁদের বিয়ে হয়েছে। বাবার মৃত্যু নিয়ে বিচার চাইতে দেখা যায় মেয়ে সূর্য মণিকেই। বাবার মুত্যুর সংবাদ শুনে অপর দুই মেয়ে অনেক দূরে অবস্থিত তাঁদের স্বামীর বাড়ি থেকে রওনা দেন বলে জানা গেছে।


এদিকে রাত ১২টার দিকে ওই ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, তখনো মানিকের লাশ পড়ে আছে হাসপাতালের কেবিনের একটি বেডে। পরে রাতেই স্বজনেরা লাশ নিয়ে রওনা দেন।


রোগী মৃত্যুর বিষয়ে ও রাত ১২টায় লাশ উদ্ধার না করার বিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে উপস্থিত রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মজনু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিকিৎসকের হাতে রোগী মারা যেতেই পারে। কারণ চিকিৎসক বন্ড সই নিয়ে চিকিৎসা দেন। তা ছাড়া পরিবারের অভিযোগ না থাকলে লাশ কীভাবে উদ্ধার করব।’ এক প্রশ্নের জবাবে উপপরিদর্শক বলেন, ‘যে চিকিৎসকের নাম বলা হয়েছে, আসলে সেই চিকিৎসকই চিকিৎসা দিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 


এদিকে এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের পরিচালক মিনার বসুনিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।


শেয়ার করুন