৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:২৫:০৮ অপরাহ্ন
সরকারি সেবা গ্রহীতাদের তথ্য চুরি করে টাকা আত্মসাৎ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৭-২০২৩
সরকারি সেবা গ্রহীতাদের তথ্য চুরি করে টাকা আত্মসাৎ

বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সরকারি সেবাগ্রহীতাদের তথ্য সংগ্রহ করে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। 


বুধবার রাতে ফরিদপুর সদরের চর কমলাপুর থেকে ডিএমপির সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড জব্দ করা হয়।


বৃহস্পতিবার প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের তথ্য উল্লেখ করে ডিএমপি জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুজন হলেন সিরাজুল ইসলাম ওরফে শুভ ও শরিফুল ইসলাম।


ডিএমপি জানিয়েছে, প্রতারকচক্রের সদস্যরা বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, উপবৃত্তি, সরকারি বিভিন্ন কল্যাণ ভাতাসহ সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্তদের টার্গেট করত। এছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা হজ পালন করতে গিয়েছিলেন, তাদের তথ্যও তারা সংগ্রহ করত। এরপর একেক সময়ে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে নানা কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। এই চক্র এভাবে প্রায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সর্বশেষ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষক পরিচয় দিয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।


সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুল হোসেইন তুহিন বলেন, এ বছর যারা সরকারি ব্যবস্থানায় হজ পালন করতে গিয়েছিলেন, তাদের মোবাইল নম্বরসহ তালিকা সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। প্রতারকচক্র ওয়েবসাইট থেকে তাদের তথ্য নেয়। এরপর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষক পরিচয় দিয়ে হাজিদের মোবাইল ফোনে কল করে। 


তাদেরকে জানায়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে হাজিদের ৭৫ হাজার টাকা পাওনা আছে। ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে তাদের ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর এবং সিভিসি-সিডিডি নম্বর কৌশলে সংগ্রহ করে চক্রটি। এসব কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে অবৈধ ট্রানজেকশন করতে চাইলে ব্যাংকের সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওটিপি গ্রাহকের মোবাইলে চলে আসে। তখন চক্রটি গ্রাহকের মোবাইলে ফোন দিয়ে কৌশলে ওটিপি সংগ্রহ করে। সেই ওটিপি ব্যবহার করে ওই চক্রের সদস্যরা গ্রাহকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।


তিনি আরও বলেন, এ ধরনের এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। তদন্তকালে প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।


শেয়ার করুন