শরিফুলের পর হাসানের আঘাত, চাপে আয়ারল্যান্ড


, আপডেট করা হয়েছে : 09-05-2023

শরিফুলের পর হাসানের আঘাত, চাপে আয়ারল্যান্ড

দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের গতিতে বিধ্বস্ত আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। ২৪৭ রানের টার্গেট তাড়ায় ৫ ওভারে ২৭ রানের দুই তারকা ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়েছে আইরিশরা।

শরিফুলের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান পল স্টার্লিং। পরের বলে অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে আবার কাট করতে গিয়েছিলেন তিনি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ধরা পড়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে। তার বিদায়ে ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। 

হাসান মাহমুদ ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে পারফেক্ট ইনসুইং দেন। তার সেই ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান আয়ারল্যান্ডে অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি। তার বিদায়ে ৪.৬ ওভারে ২৭ রানে ‍দ্বিতীয় উইকেট হারায় আইরিশরা। 

মঙ্গলবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে মুশফিকুর রহিমের (৬১) ফিফটি আর নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করে বাংলাদেশ। এছাড়া ৩৪ ও ৩১ বলে ২৭ রান করে করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়। ২১ বলে ২০ রান করেন সাকিব আল হাসান।

এদিন ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারে জশ লিটলের ফুললেংথ বলে এলবিডব্লুউ হয়ে শূন্যরানে ফেরেন তারকা ওপেনার লিটন কুমার দাস।

দলীয় ১৫ রানে ৩.৫ ওভারে মার্ক এডেয়ারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১৯ বলে ১৪ রান করে ফেরেন তিনি। 

দারুণ খেলতে থাকা সাকিব আল হাসান ফেরেন বাজেভাবে আউট হয়ে। গ্রাহাম হিউমের লেংথ বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ২১ বলে ২০ রান করে সাকিব আউট হলে ভাঙে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৩৭ রানে জুটি। ৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৬৩ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ার পর থামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যাম্ফারের বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ারে লেগে থাকা ফিল্ডারের কাছে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত।

সাজঘরে ফেরার আগে ৬৬ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৪ রান করেন শান্ত। তার বিদায়ে ২১.৪ ওভারে ১০২ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩১ বলে ২৭ রান করে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। 

ষষ্ঠ উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ৬৬ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। ৩৪ বলে চার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ রান করে ফেরেন মিরাজ। 

সপ্তম উইকেটে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ৪৪ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। এই জুটিতেই দলীয় স্কোর দুইশ পার হয়। ৭০ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬১ রান করে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। 

৪৪.৫ ওভারে দলীয় ২২০ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিকের বিদায়ে স্বীকৃত সব ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর ২৩ রানের ব্যবধানে ফেরেন তাইজুল ও শরিফুল। বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে হারিয়ে ২৪৬ রানে ইনিংস গুটায়।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার